শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   বিশাল দুঃসংবাদ পেলেন তামিম যে কারণে দল ছিটকে গেলেন তামিম

বিশাল দুঃসংবাদ পেলেন তামিম যে কারণে দল ছিটকে গেলেন তামিম

Avatar

রবিবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮

প্রিন্ট করুন

হাতের চোটে পড়ে সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপ থেকে শুরুতেই ছিটকে গেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচ পরে একই পরিণতি মানতে হয়েছিলো সাকিবকেও।

এই দুই ক্রিকেটারকে ছাড়াই পাকিস্তানের সাথে বাঁচা-মরার লড়াই থেকে উৎরে টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলেছে টাইগাররা, পাওয়া যায়নি সাকিব-তামিমকে। অপেক্ষাটা দীর্ঘ হচ্ছে আরো। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজেও পাওয়া যাবে না এই দুই ক্রিকেটারকে।

হাতের আঙুলের চোটে পড়ে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে সাকিব আল হাসানের। সেটা সারলে আরেক ধাপে ডাক্তারদের ছুরিকাঁচির নিচে যেতে হবে এই টাইগার অলরাউন্ডারকে। সবেমিলে প্রায় তিন মাসের মত মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে সাকিবকে। তাই কোন সংশয় ছাড়াই বাংলাদেশ দল সাকিবের সার্ভিস হারাবে ঘরের মাঠে আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজে।

একই সিরিজে এবার খেলা হচ্ছে না তামিমেরও। সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের উদ্বোধনি ম্যাচে নিজেদের ইনিংসের প্রথম ওভারে দুই উইকেট হারানোর পর চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তামিম ইকবাল।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে লাকমালের করা শেষ বলটি লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে পুরানো ইনজুরির জায়গাতেই আবারও ব্যাথা পান তিনি। এরপর ব্যথার পরিমাণ বেশি হয়াতেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এরপরের ঘটনাতেতো সারা ক্রিকেট বিশ্ব সাক্ষী।

ভাঙ্গা সেই হাত দিয়ে তামিম এখন ছুটছেন দেশ-বিদেশ। দ্রুত আবার মাঠে ফিরতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসাকের পরামর্শ নিতে লন্ডনের উপকণ্ঠে সাউদাম্পটনের উদ্দেশ্যে তামিম রওয়ানা হয়েছিলেন গত ২৭ সেম্পেটম্বর। যাওয়ার আগে জানিয়ে গেছিলেন খুব বেশি সমস্যা না হলে ১ অক্টোবর দেশে ফিরে আসবেন তিনি। কিন্তু তামিম ফিরলেন ১দিন আগে। অর্থ্যাৎ, আজ (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫ টায়।

কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে করে বিকেল ৫ টায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে নামেন তামিম। সেখানেই তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে নিজের ইনজুরির সর্বশেষ অবস্থার কথা জানাতে যেয়ে বলেন, অন্তত ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগতে পারে তার পুরোপুরি সুস্থ হতে। তাইতো অবধারিত ভাবেই খেলতে পারবেন না জিম্বাবুয়ে সিরিজটা।

বিমান বন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের তামিম বলেন, ‘ডাক্তাররা জানিয়েছে, আপাতত নতুন করে আর কোনো চিকিৎসা লাগবে না। তবে পুরোপুরি সুস্থ হতে সর্বোচ্চ ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। যদিও ডাক্তার জানিয়েছেন, ৫ সপ্তাহ পর তাকে একবার দেখিয়ে আসতে। এরপরই হয়তো তিনি জানিয়ে দিবেন, কত সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে।’

এই ৭ থেকে ৮ সপ্তাহ মানেই দাঁড়াচ্ছে প্রায় দুই মাসের মত। অর্থ্যাৎ, জিম্বাবুয়ে সিরিজ পুরোটাই মিস করতে যাচ্ছেন তামিম। যদিও জাতীয় দলের নির্বাচকরা আগেই আশা প্রকাশ করেছিলেন, সুস্থ হওয়ার পর হয়তো বা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে পাওয়া যাবে তামিমকে। কিন্তু, তিনি নিজে যে তথ্য আজ জানালেন, তাতে মনে হচ্ছে, জিম্বাবুয়ে সিরিজের কোনো ম্যাচেই আর তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন