অবশেষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালা খুলে উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে দ্বার। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত দেড় বছর ধরে তালা ঝুলছে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। নানা সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার গুঞ্জন থাকলেও তা বন্ধই রাখা হচ্ছে কোভিড সংক্রমণের কথা বলে। তবে এবার দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদালয় খুলে দেয়া হচ্ছে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই। সেই সাথে আগামী নভেম্বরে এসএসসি এবং ডিসেম্বরে সরাসরি এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ঢাকার সাত কলেজ ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে পরীক্ষা নেয়া শুরু করে দিয়েছে। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও একই পথে হাটবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস এবং পরীক্ষা চালাতে হবে।
অন্যদিকে ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের টিকা গ্রহনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকেও টিকার আওয়াতায় আনা হচ্ছে পর্যায়ক্রমে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে এখনই।
বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ খুলে দেয়া হলেও এখনই খোলা হচ্ছে না স্কুল। সংক্রমণ অন্তত ৫ শতাংশের নিচে না আসলে স্কুল খোলার পরিকল্পনা নেই বলেও জানা গেছে। এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান বলেন, সচিব কমিটির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। যেহেতু উচ্চ শিক্ষা স্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিকার আওতায় এসেছে সেজন্য এই স্তরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হতে পারে।
তবে করোনা সংক্রমণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে বা সন্তোষজনক পর্যায়ে না এলে স্কুলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, সংক্রমণ প্রত্যাশিত হারে নেমে আসতে বা টিকা দেওয়ার কাজ শেষ করতে আর হয়তো ৫-৬ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। ওই পর্যন্ত অপেক্ষা হয়তো কষ্টকর হবে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দেন দ্রুত দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর শিক্ষামন্ত্রণালয় নড়েচড়ে বসেছে নতুন করে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানা যাবে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন