বাংলাদেশ দলের সেরা ওপেনারের তকমা বেশ আগেই পেয়েছেন তামিম ইকবাল। দেশের জার্সিতে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিনত করে গড়েছেন একের পর এক রেকর্ড, ঠাই করে নিয়েছেন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায়ও।
সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজে ব্যাট হাতে তামিম ইকবাল ছিলেন দুর্দান্ত। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে তিনটি ফিফটি হাঁকানো তামিম অবশ্য প্রতিটিকেই শতকে পূরণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। এই তিনটি অর্ধশত রানের ইনিংসকে শতকে পূরণ করতে পারলে হয়তো নতুন একটি রেকর্ড হয়েই যেত তামিমের। তবে তার জন্য অপেক্ষা এখন ঘরের মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের জন্য।
দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল দেশের জার্সিতে তিন ফরম্যাট মিলেয়ে সর্বমোট খেলেছেন ৪০৮ ইনিংস। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিমের এই ইনিংসে সর্বমোট রান করেছেন ১৩ হাজার ৯৪১। সর্বমোট ২৩টি শতক এবং ৮৮টি অর্ধশতক দখলে রয়েছে তামিমের। ৩৫.৫৬ গড়ে রান করা তামিমের স্ট্রাইকরেট ৭২.৪২। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি হচ্ছে ২০৬ রানের।
তামিম ইকবাল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের জার্সিতে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করা থেকে দূরে রয়েছেন আর মাত্র ৫৯ রানের। লঙ্কানদের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের আর মাত্র ৫৯ রান করতে পারলেই দেশের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তামিম।
বাংলাদেশ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করার তালিকায় দুই নম্বরে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিক এখন পর্যন্ত দেশের জার্সিতে খেলেছেন ৩৮৪ ইনিংস। যেখানে তার রানসংখ্যা ১২ হাজার ৩১১। মুশফিকের নামের পাশে রয়েছে ১৪টি শতক এবং ৬৭টি অর্ধশতক। সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি হচ্ছে অপরাজিত ২১৯ রানের।
এছাড়া তালিকার তিন নম্বরে থাকা সাকিব আল হাসান খেলেছেন ৩৪২ ম্যাচ। যেখানে তার নামের পাশে রয়েছে ১১ হাজার ৯৩৩ রান। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আর মাত্র ৬৭ রান করতে পারলে সাকিব আল হাসানও ঢুকে যাবেন ১২ হাজার রানের ক্লাবে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন