শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   জুনে এনজিওর কিস্তি নিয়ে আসল সরকারি সিদ্ধান্ত

জুনে এনজিওর কিস্তি নিয়ে আসল সরকারি সিদ্ধান্ত

Avatar

বুধবার, জুন ৩, ২০২০

প্রিন্ট করুন

এনজিও বাংলাদেশে গ্রাম গঞ্জে সবথেকে পরিচিত একটি নাম। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে এনজিও থেকে টাকা তুলে এমন নজির পাওয়া খুব কষ্ট সাধ্য হবে। খামারি থেকে কৃষক বেসরকারী চাকুরিজীবী থেকে ব্যবসায়ী থেকে  সবাই কম বেশি ইনকাম সোর্স হারিয়েছে। আর এই মুহুর্তে কিস্তির টাকা যেন মরার উপরে খাড়া হতে পারে।তাইতো দেশের জনগণের কথা ভেবে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিস্তির টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করা যাবে নাহ ।

দেশের এ অবস্থায় দেশের এনজিওগুলোকে আগামী জুন পর্যন্ত ঋণের কিস্তি না নিতে নির্দেশ দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। সেইসঙ্গে জুনের পর ওই কিস্তির ওপর নতুন কোনো জরিমানা নেওয়া যাবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির পরিচালক মোহাম্মাদ ইয়াকুব হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এনজিওগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে একাধিক এনজিও’র সঙ্গে যোগাযোগ করে নির্দেশনা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।এমআরএ’র ওই নির্দেশনায় বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব বাণিজ‌্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

এ অবস্থায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণ গ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরটি বিধিমালা ২০১০ এর বিধি ৪৪ অনুসরণে ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল,

আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত উক্ত ঋণ তদাপেক্ষা বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না। তবে কোনো ঋণের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী শ্রেণিকরণ করা যাবে।

নির্দেশনার চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বেসরকারি সংস্থা আর্স বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক শামসুল আলম বলেন, এর ফলে আগামী জুন পর্যন্ত কোনো ঋণ গ্রহীতা কিস্তি না দিলে তাকে চাপ দেওয়া যাবে না।

সেইসঙ্গে নির্ধারিত সময় শেষে কোনো প্রকার জরিমানা ছাড়াই বকেয়া কিস্তি গ্রহণ করে ঋণ শ্রেণিকরণ করতে হবে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন