শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ভারতে তৈরি হচ্ছে নতুন করোনা প্রতিরোধক যাতে সেরে উঠবে করোনা

ভারতে তৈরি হচ্ছে নতুন করোনা প্রতিরোধক যাতে সেরে উঠবে করোনা

Avatar

শুক্রবার, এপ্রিল ২৪, ২০২০

প্রিন্ট করুন

যখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসের ভ্যাক্সিন বানানোর প্রস্তুতি চলছে, তারই মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ আবিষ্কারের মন দিয়েছেন ভারতের বিজ্ঞানীরা।ভারতের কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চে চলছে এক বিশেষ গবেষণা।

চলছে এক ‘ইমিউনো মডিউলেটর’ বানানোর কাজ, যা নাকি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে পারে যে ধরনের সংক্রমণ প্রতিহত হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।

গবেষকরা জানাচ্ছেন এই ওষুধ খেলে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কম থাকবে। ফলে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ কাজে লাগতে পারে এই ওষুধ। এছাড়া যারা করোনা আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তারাও সেরে উঠবেন দ্রুত। তবে তার আগে ট্রায়াল’ চালাবেন ভারতীয় গবেষকরা।

কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ড্রাগ কন্ট্রোল জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ওই ওষুধের ট্রায়ালে অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে গোটা বিশ্বে যখন অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট এবং ভ্যাক্সিন তৈরি প্রক্রিয়া চলছে তখন মানুষের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করা খুবই জরুরি। এই প্রচেষ্টা সফল হলে কোন‌ও ব্যক্তি অন্য কোনও আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলেও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকবে।

জানানো হয়েছে ওই ওষুধে থাকবে মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াম যা নাকি মানুষের শরীরের জন্য খুবই নিরাপদ, এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। জানা গিয়েছে এই ট্রায়ালের ফলাফল জানা যাবে কয়েক মাস বাদেই। আর তারপরই ওষুধ ব্যবহার করা যাবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা হবে।এদিকে, মানুষের উপর প্রথম প্রতিষেধকের পরীক্ষা শুরু হল ইউরোপে। অক্সফোর্ডে প্রথম এই পরীক্ষা হয়েছে বলে বিবিসি সূত্রে খবর। এই পরীক্ষা চালানোর জন্য ৮০০ জনকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু’জনের শরীরেই প্রতিষেধক ইনজেক্ট করা হল।

এই ৮০০ জনের মধ্যে অর্ধেক কে দেওয়া হবে করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক ও বাকিদের দেওয়া হবে কন্ট্রোল ভ্যাকসিন যা তাদেরকে মেনিনজাইটিস থেকে রক্ষা করবে, করোনাভাইরাস থেকে নয়।এই পরীক্ষা পদ্ধতি অনুযায়ী কাকে কোন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তা তাঁরা জানতে পারবেন না, জানবেন শুধুমাত্র চিকিৎসকেরা।

প্রথম যে দুজনের শরীরে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে একজন হলেন এলিসা গ্রানাতু। তিনি নিজেও পেশায় একজন বিজ্ঞানী, তাই বিজ্ঞান কে সমর্থন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন তিনি।অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক সারা গিলবার্ট এর তত্ত্বাবধানে একটি টিম গত তিন মাসে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। আর এই ভ্যাক্সিন নিয়ে তাঁরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন সারা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন