শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   নাম মাত্র শর্তে ১৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন যেভাবে

নাম মাত্র শর্তে ১৫ লাখ টাকা ঋণ পাবেন যেভাবে

Avatar

শনিবার, জানুয়ারী ১৬, ২০২১

প্রিন্ট করুন

বাড়ি নির্মানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষই গৃহঋণ নেয়ার দিকে ঝুঁকে থাকে। সরকারি কিংবা বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ দেয়ার পাশাপাশি বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান বর্তমানে এই ঋণ প্রদান করে থাকে। বেসরকারি ব্যাংক কিংবা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহঋণ নিতে গেলে গ্রাহককে গুনতে হয় চড়া সুদ।

অন্যদিকে বেসরকারি ব্যাংকগুলো নামমাত্র ঋণ দিয়েই দায় সেরে থাকে। অর্থাৎ চাহিদা অনুযায়ী ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাকই গড়িমসি করে থাকে। তবে দেশের একমাত্র সরকারি প্রতিস্থান যারা গৃহঋণ দিয়ে থাকে সেই প্রতিষ্ঠান হল বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)।

সরকারি এই সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে কোন গ্রাহক যদি একটি ফ্ল্যাট কিনতে চান তাহলে অন্তত ২০ থেকে ৩০ শতাংশ নিজের টাকা থাকতে হবে। অর্থাৎ কোনো গ্রাহক যদি ১ কোটি টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনতে চান তাহলে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকা নিজের থাকলে বাকি টাকা লোন নেয়া সম্ভব বিএইচবিএফসি থেকে।

কত টাকা ঋণ  পাওয়া যাবে?: বিএইচবিএফসি ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ১ কোটি থেকে ১ কোটি ২০ টাকা পর্যন্ত গৃহঋণ প্রদান করে থাকে। ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি ঋণ দেয়।

তবে এই ঋণের পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। ঋণের পরিমান ২ কোটি টাকা পর্যন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে সরকারের অর্থ বিভাগ। কৃষকরা যাতে বাড়ি নির্মান করতে পারেন এজন্য তাদেরকে দেয়া হবে ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ। প্রবাসীদেরকে বাড়ি নির্মানের জন্য দেয়া হবে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ। এর মধ্যে সোনালী ব্যাংক বাড়ি নির্মাণে ‘সোনালী নীড়’ নামে গ্রামাঞ্চলে ঋণ দিচ্ছে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।

সুদের পরিমানঃ বিএইচবিএফসি থেকে নেয়া ঋণের সুদ দিতে হয়ে সরলভাবে। এছাড়া বাকি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে হলে সুদ প্রদান করতে হয় চক্রবৃদ্ধি হারে। কৃষকদের জন্য ৭ শতাংশ সুদ, ফ্ল্যাট নির্মানে ৯ শতাংশ সুদ এবং সোনালি ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের ক্ষেত্রে প্রদান করতে হবে ৭ শতাংশ সুদ। তবে বেসরকারি ঋণের ক্ষেত্রে সেই সুদের পরিমান গিয়ে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত।

যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজনঃ বাড়ি নির্মাণ ঋণের জন্য প্রথমেই দরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত নকশার সত্যায়িত ফটোকপি। মূল দলিল, নামজারি খতিয়ান, খাজনা রসিদের সত্যায়িত ফটোকপি। এ ছাড়া লাগবে সিএস, এসএ এবং আরএস, বিএস খতিয়ানের সত্যায়িত কপি। জেলা বা সাবরেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে ১২ বছরের তল্লাশিসহ নির্দায় সনদ (এনইসি)। তবে একেক ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন ধরনের কাগজপত্র চেয়ে থাকে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন