শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর আগে কাঁদতে কাঁদতে শেষ যা বলেছিলেন রায়হান

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর আগে কাঁদতে কাঁদতে শেষ যা বলেছিলেন রায়হান

Avatar

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৫, ২০২০

প্রিন্ট করুন

সিলেটের বন্দরনগর পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান নামের এক ব্যক্তিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে সম্প্রতি। রায়হানকে ফাঁড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে টাকা আদায় করতে নির্যাতন চালানো হয় তার উপর। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মৃত্যুবরণ করেন রায়হান। মৃত্যুর আগে কী বলেছিলেন তিনি?

ফাঁড়িতে যখন রায়হান উদ্দিনকে নির্যাতন করা হচ্ছিল তখন ফাঁড়ির পার্শ্ববর্তী কুদরত উল্লাহ বোর্ডিংয়ের এক ব্যক্তি সেই চিৎকার শুনছিলেন। মৃত্যুর আগে রায়হান চিৎকার করে বলছিলেন, ‘’আমি চোর না, আমারে মাইরেন না।‘’

কুদরত উল্লাহ বোর্ডিংয়ে থাকা সেই ব্যক্তির নাম হাসান। ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘’আমি কুদরত উল্লাহ বোর্ডিংয়ের ১০২ নম্বর রুমে থাকি। সেই রাতে এক আত্মীয়কে ঢাকার বাসে তুলে দিতে কদমতলী টার্মিনালে গিয়েছিলাম। গভীর রাতে ফিরে আসার সময় শুনতে পাই ফাঁড়ির ভেতরে কেউ চিৎকার করে বলছে ‘আমি চোর না, আমারে মাইরেন না’।‘’

হাসান নামের ওই ব্যক্তি আরও জানান, ‘’চিৎকার শুনে মনে হচ্ছিল সে কারো কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাইছে। পরদিন সকালেই রায়হানের মৃত্যুর খবর দেখতে পাই।‘’

প্রসঙ্গত, গত রবিবার সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান উদ্দিনকে তুলে নেয়া হয়। এরপর এসআই আকবর টানা তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে নির্যাতন করলে মারা যান রায়হান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, নগরীর কষ্টাগর এলাকায় রায়হান চুরি করার সময় গণপিটুনিতে নিহত হয়।

পুলিশের এমন দাবির অবশ্য সত্যতা পাওয়া যায়নি। সিসি টিভির ফুটেজে দেখা যায় রায়হানকে থানায় ধরে নিয়ে আসা হয়।

রাহানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তন্নি সিলেট কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের। তন্নি জানান, আমার স্বামীকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে হাত-পায়ে আঘাত ও নখ উপড়ে ফেলা হয়েছে। রাতভর নির্যাতনেই তার মৃত্যু হয়েছে।

রায়হানের মৃত্যুর প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন