শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   মৃত্যুর আগে শেষ বার্তায় মিন্নিকে যা বলেছিলেন নয়ন বন্ড

মৃত্যুর আগে শেষ বার্তায় মিন্নিকে যা বলেছিলেন নয়ন বন্ড

Avatar

বুধবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২০

প্রিন্ট করুন

গত বছর বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল রিফাত শরিফকে। আলোচিত সেই হত্যাকাণ্ডের রায় প্রকাশিত হয়েছে বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। এই মামলার রায়ে ১০ আসামির মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি এবং চার জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

রিফাত হত্যা মামলায় জড়িত ছিলেন নয়ন বন্ড। যার সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মিন্নির। ফলে নয়নকে নিয়েও চলেছিল আলোচনা। নয়ন বন্ডের সাথে মিন্নির যোগাযোগ ছিল সব সময়ই। রিফাতের সাথে বিয়ে হবার আগে এবং পরে দুই সময়েই যোগাযোগ ছিল তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তার বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, মিন্নি যে সিমটি ব্যবহাত করতেন সেটা ছিল নয়নের। নয়নের মায়ের নামে সিমটি রেজিস্ট্রেশন করা ছিল বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের তফর থেকে আরও দাবি করা হয়, যেদিন রিফাতকে হত্যা করা হয়েছিল সেদিন সকাল ৯টা ৮ মিনিটে নয়নের সাথে কথা বলেছিলেন মিন্নি। নয়নের সাথে ৪০ সেকেন্ড কথা বলেছিলেন মিন্নি। এছাড়া হামলার পর ১১টা ৩১ মিনিটে মিন্নিকে একটি এসএমএস করেছিলেন নয়ন। বিকাল ৪টার কিছু সময় আগে যখন রিফাত মারা যায় তখন নয়ন আরও একটি মেসেজ পাঠিয়েছিলেন নয়ন।

সেই এসএমএসে নয়ন মিন্নিকে লেখেছিলেন, ‘আমারে আমার বাপেই জন্ম দেছে’।

রিফাতের এমন এসএমএসের রহস্য ভেদ করতে মিন্নিকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তখন জানিয়েছিলেন, নয়ন বন্ডকে তিনি বলেছিলেন, ‘’যদি রিফাতকে হত্যা করতে পারে তাহলে বুঝব তোমারে তোমার বাপেই জন্ম দিছে।‘’

উলেখ্য, আজকে এই মামলার রায়ে যাদের ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে তারা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
অন্যদিকে এই মামলায় খালাস পাওয়া চারজন হলেন, মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সায়মুন (২১)। মামলার প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয় আদালতের পক্ষ থেকে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন