বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরিফকে কুপিয়ে হত্যা করার ভিডিও যখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় তখন সেখানে দেখা যাচ্ছিল রিফাতকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মিন্নি। তবে সেই হত্যা মামলার তদন্তে শেষ পর্যন্ত বেরিয়ে আসে রিফাতকে খুনের পেছনে হাত ছিল মিন্নিরও।
৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ মো. আছজাদুজ্জামান মিয়া এদিন মামলার দশ আসামি থেকে ছয় জনের ফাঁসির রায় দেন এবং বাকি চার জনকে খালাস দেন। ফাঁসির রায় দেয়া ছয় জনের মধ্যে রায় শোনার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন ৫ জন। এক জন অন্যজনকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন আসামিরা।
অন্যদিকে খালাস পাওয়া চার আসামি উল্লাস করতে থাকেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দের হাসি হাসতে থাকেন। নিজেদের মধ্যে উচ্ছাস প্রকাশের কোনো কমতি দেখা যায়নি এই চার জনের মধ্যে।
তবে এদিন ব্যতিক্রম ছিলেন মিন্নি। ফাঁসির আদেশ হওয়া সবাই কান্না করলেও মিন্নি ছিলেন একদম নীরব। কোনো কথা বার্তা ছিল না তার মুখে। কান্নার কোনো ছিটেফোটাও দেখা যায়নি এদিন মিন্নির মধ্যে। রায় ঘোষণার আগে যেমন স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন, পরবর্তীতেও একই অবস্থায় দেখা গিয়েছিল মিন্নিকে।
আদালতে উপস্থিত ৯ আসামির মধ্যে সবার আগে বের করে আনা হয় মিন্নিকে। বাইরে অপেক্ষমান তার বাবা মোজাম্মেল হক কিশোর মেয়েকে দেখে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। এসময়ও কোনো প্রতিক্রিয়া দেখান নি মিন্নি। তবে মিন্নির বাবা জানিয়েছেন, মিন্নির সাথে অবিচার করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে যাওয়ার ঘোষণাও দেন মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, এই মামলায় ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়েছে যে ছয় জনের নামে তারা হলেন, মো. রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজোয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন