অবশেষে ভারত থেকে দেশের বাজারে আসছে পেঁয়াজ। গতকাল (১৮ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজ রপ্তানির জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এই অনুমোদনের পর ভারত থেকে এখন বাংলাদেশে আসবে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ। তবে এর মধ্যে নতুন করে আমদানি করা কোনো পেঁয়াজ আসছে না।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর কোনো প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাত করে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশ দেয় ভারত সরকার। দেশটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বাজারের ভারসাম্য রক্ষার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তারা এমনটাই জানা গিয়েছিল। ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা বন্ধ করে দেয়ার খবরের ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই অস্থির হয়ে ওঠে দেশের বাজার। প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য বাড়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত। দুইদিন চড়া মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয় করতে হলেও গতকাল থেকে কিছুটা কমতে শুরু করেছে দেশে পেঁয়াজের মূল্য।
বিনা ঘোষণায় হঠাত এমন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জোর তৎপরতা চালানো হয় পেঁয়াজ রপ্তানি পুনরায় চালু করার জন্য।
পরবর্তিতে শুক্রবার ঘোষণা আসে, যে সকল পেঁয়াজ আগেই রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিল শুধুমাত্র সেই পেঁয়াজ পাঠাবে ভারত। অর্থাৎ, যে পেঁয়াজগুলো রপ্তানির প্রক্রিয়াধীন বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা পরিবহন (সরবরাহ) পর্যায়ে রয়েছে শুধুমাত্র সেই পেঁয়াজই আসবে বাংলাদেশে। নতুন করে কোনো পেঁয়াজ রপ্তানির ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি ভারত সরকার।
বাংলাদেশে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ আসার খবর নিশ্চত করেছেন বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতের হাইকমিশন। বাংলাদেশে অবস্থিত এই হাইকমিশনের বরাত দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানির খবর প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যমগুলোও।
অন্যদিকে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে শুক্রবার মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনা হয়েছে। এদিন ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বোঝাই করা একটি ট্রলার টেকনাফ স্থলবন্দরে ভিড়ে। শুধু মায়ানমারই নয়, তুরস্ক সহ আরও বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আমদানির মাধ্যমে দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি মেটানো হবে বলেও জানিয়েছে বাণিজ্যমন্ত্রনালয়।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন