রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান সাহেদ করিমকে আটক করার আগেই করোনার জাল সার্তিফিকেট প্রদানের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ফলে অভিযান চালানো হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। তবে সাতক্ষীরা থেকে তাকে আটক করার পর জিজ্ঞাসাবাদে মিলছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটকের পর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালানর পর উদ্ধার করা হয় মাদকদ্রব্য সহ অস্ত্র। তবে এবার তার বিরুদ্ধে পাওয়া গেল অর্থ পাচারের অভিযোগ।
দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তারা জানিয়েছে বিদেশে ৫২ কোটি টাকা পাচার করেছে সাহেদ। র্যাবের পক্ষ থেকে সাহেদের ব্যাপারে অভিযোগ গ্রহনের জন্য হটলাইন চালু করলে সেখানে মেইলের মাধ্যমে এমন কথা জানিয়েছে একটি সূত্র।
উক্ত সূত্রের দেয়া ভাষ্যমতে সাহেদ বাংলাদেশে কোনো স্থায়ী সম্পত্তি না রেখে বিদেশে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০১২ সাল থেকেই অর্থ পাচার করে আসছিলেন সাহেদ এবং চার বছর পর অর্থাৎ ২০১৬ সালে সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়তেই থাকে।
তবে র্যাব এবং ডিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পাননি তারা। নির্দিষ্ট তথ্য পেলে তবেই তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের মামলা করা হবে।
অন্যদিকে এ মেহতা নামে একজন জানিয়েছেন তিনি সাহেদের টাকা পাচারের কথা বলেছেন র্যাবের কাছে। মেহতা জানান সাহেদ প্রথমে টাকা পাচারের জন্য বেছে নেন ভারতকে। ভারতে নিজের আত্মীয়দের নামে কিছু সম্পদও কিনেন সাহেদ। তবে ধীরে ধীরে সাহেদ ভারতে টাকা না পাঠিয়ে কানাডা এবং ইউরোপে টাকা পাচার শুরু করে। নিজের নামে আধার কার্ড (পরিচয়পত্র) তৈরি করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশে বসবাসের জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন সাহেদ।
উল্লেখ্য, নানা ধরনের অভিযোগ পাওয়ার পর গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালে র্যাব অভিযান চালিয়ে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেয়। এরপর বেশ কয়েকদিন সাহেদ পলাতক থাকলেও র্যাবের বিশেষ অভিযানে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন