শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে চারজনকে ফাসিয়ে দিলেন ডাঃ সাবরিনা

গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে চারজনকে ফাসিয়ে দিলেন ডাঃ সাবরিনা

Avatar

রবিবার, জুলাই ১৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

মহামারী করোনা ভাইরাস যখন লাশের মিছিল দীর্ঘ করছে তখন সেই করোনাকে ঘিরেই জালিয়াত চক্র পাখা মেলেছে। করোনার ভুয়া সনদ প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের সম্পত্তিকে বর্ধিত করে চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এমনই জালিয়াত চক্রের একজন হোতা হলেন ডাঃ সাবরিনা। দিনের পর দিন করোনার নকল সনদের মাধ্যমে কামিয়ে নিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। তবে সব কিছুরই যে শেষ আছে সেটা যেন বুঝা গেল এবার।

সাবরিনাকে আটকের পর প্রথম দফায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও দুইদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সাবরিনাকে। প্রথম দফার রিমান্ডে খুব বেশি তথ্য না পেলেও দ্বিতীয় দফার রিমান্ডে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সাবরিনা। চিকিৎসা খাতে এই পুকুর চুরির মত ঘটনার সাথে জড়িত রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কর্তারা।

রোববার (১৮ জুলাই) দেশের জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে জানানো হয় সাবরিনা যে সিম কার্ডটি ব্যবহার করত সেটার কললিস্টে থাকা নম্বরগুলো নিয়ে যাচাই বাছাই করে সেখানে প্রায় দুই ডজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। যেখানে আরিফ সাবরিনার বন্ধু-বান্ধবী সহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

অন্যদিকে আরেক আলোচিত প্রতারক শাহেদের সাথে সাবরিনাকে মুখমুখিও করা হয়েছে বলে জনিয়েছে সূত্রটি। মুখোমুখি অবস্থানে থেকে দুইজনই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির ব্যাপারে তথ্য দিয়েছে বলে জানা গেছে।

সাবরিনার ভাষ্য তার স্বামী আরিফের সাথে সাথে এক পর্যায়ে বিরোধ তৈরি হবার ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই কর্মকর্তকা এ অনিয়মের খবর দেয় আরিফ। সেখান থেকে ফাঁস হয় জেকেজির অনিয়মের তথ্য।

এদিকে আরও একটি বিস্ফোরক তথ্য হল সরকারের পক্ষ থেকে করোনার জন্য যে ৫০০ কোটি টাকার যে ফান্ড রয়েছে সেটার দিকেই নজর দিয়েছিল আরিফ-সাবরিনা দম্পতি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চারজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করার মাধ্যমে এই টাকা হাতিয়ে নেয়ার ফন্দি করা হয়েছিল বলেও জিজ্ঞাসাবাদের জানিয়েছে সাবরিনা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন