করোনা কালে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিব্রত হননি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। অন্যান্য সময় থেকে আকাশ-পাতাল তফাৎ দেখা গিয়েছে করোনার সময় বিদ্যুৎ বিলে। ফলে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। সঙ্কট নিরসনে অবশ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো।
এদিকে বিদ্যুৎ গ্রাহকদেরকে নতুন সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। বৃহস্পতিবার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় করোনা সঙ্কটের কারনে বিদ্যুৎ বিলে বিলম্ব মাশুল মওকুফের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে জুন মাস পর্যন্ত আবাসিক বিদ্যুৎ গ্রাহদের ৫ শতাংশ বিলম্ব মাশুল মওকুফ করা হয়, তবে নতুন ঘোষণা অনুযায়ী ৫ শতাংশ বিলম্ব মাশুল ছাড়াই গ্রাহকরা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন ৩১ জুলাই পর্যন্ত।
বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সাম্প্রতিক সময়ে ভোগান্তিতে পড়ার পর একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। সামাজিক মাধ্যম সহ দুয়ো পেতে হয় দেশের বিদ্যুৎ বিভাগকে। তবে গ্রাহকদের কথা আমলে সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে সমাধানের চেষ্টাও করেছে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলো।
মুলত মিটার না দেখে বিদ্যুৎ বিল করার কারনেই এমনটা হয়েছে। অনুমানের উপর নির্ভর করে বিদ্যুতের বিল করার পরই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় গ্রাহকদেরকে। অবশ্য ঢাকার দুই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ডেসকো ও ডিপিডিসি মিটার দেখেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেছে বলে দাবি করেম, তবে শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকেনি।
অন্যদিকে, গত ৫ জুলাই বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোর সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্যুৎ সচিব সুলতান আহমেদ জানিয়েছিলেন গ্রাহকদেরকে কোন অতিরিক্ত খরচ বহন করতে হবে না বিদ্যুতের বিল হিসেবে। তার ভাষ্য, ‘’ এসব ভুলের কারণে কোনো গ্রাহককে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হবে না। প্রয়োজনে বিলম্ব মাশুল মওকূফের সময় বাড়ানো যায় কিনা সরকার সেটাও চিন্তা করছে। ফলে কারও কোনো অসুবিধা হবে না। এই সময়ের মধ্যে ভুল সংশোধন করা যাবে।‘’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন