বর্তমান সময়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) রাজনীতির মাঠে নেই বললেই চলে। বিরোধী দল হিসেবে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করা রাজনীতির অন্যতম অংশ হলেও প্রকৃতপক্ষে বিএনপি সেই আন্দোলন থেকে যেন বহু ক্রোশ দূরে।
মূলত খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপির চাঙ্গা ভাব কমতে থাকে। দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া তারেক জিয়া দলের গুরুত্বপূর্ন পদে থাকলে শুধুমাত্র নির্দেশনা দিয়েই দায় সেরেছেন তিনি। অন্যদিকে গুঞ্জন আছে দলের সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়ার কথা মানলেও বিএনপির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো তারেক জিয়ার নির্দেশেই চলে।
এদিকে সম্প্রতি বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে নতুন তথ্য। রুহুল কবির রিজভীকে নিয়ে খালেদা জিয়ার সাথে তারেক জিয়ার দ্বন্দ্ব চরমে রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি। দায়িত্বশীল ওই সূত্রটি জানায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির একটি পদ ফাঁকা হওয়ায় সেই পদে রুহুল কবির রিজভীকে বসানোর কথা জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করেন খালেদা জিয়া। তৎক্ষণাৎ কোনো সিদ্ধান্ত না জানিয়ে ফখরুল কথা বলেন তারেক জিয়ার সাথে। তবে রিজভীকে স্থায়ী কমিটিতে পদ দেয়ার ব্যাপারে অপারগতা প্রকাশ করেন তারেক জিয়া। ফলে এখানেই মাতা-পুত্রের দ্বন্দ্ব বেধে যায় নতুন করে।
বিএনপির পেছনে রিজভীর অবদানও কম নয়। খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর থেকে দলের দায়িত্ব পআলনের ক্ষেত্রে বেশ সক্রিয় থাকতে দেখা গিয়েছে রিজভীকে। দলের অন্যান্য নেতারা যখন ঘরে বসে ছিলেন তখন হুটহাট মিছিল নিয়ে বেরিয়ে যেতেন রিজভী।
খালেদা জিয়ার সাথে তার পুত্র তারেক জিয়ার দ্বন্দ্ব অবশ্য এবারই প্রথম নয়। ২০০৯ সালের পর আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর থেকেই খালেদা জিয়ার কর্তৃত্ব কমতে থাকে। ছাত্রদলের মত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী সংগঠনগুলো তারেক জিয়ার নির্দেশে অধিক গুরুত্ব দিলে সেখানেও জনপ্রিয়তা হারাতে থাকেন খালেদা জিয়া।
তবে উল্টো চিত্রও রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে তারেক জিয়াকে পছন্দ করা নেতা-কর্মীর সংখ্যা নগন্ন। কেননা খালেদা জিয়া প্রায় ২৫ মাস জেলে থাকার পরও যেখানে তারেক জিয়া লন্ডন থেকে দেশে এসে দলের হাল ধরেননি তখন তার উপর আস্থা হারাতে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন