শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা নিয়ে চূড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত জানালেন শিক্ষা সচিব

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা নিয়ে চূড়ান্ত যে সিদ্ধান্ত জানালেন শিক্ষা সচিব

Avatar

শনিবার, মে ৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

প্রায় দুই মাস ধরে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। দীর্ঘ এই ছুটিতে শিক্ষার্থীদের পাঠকার্যক্রমের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সব ধরনের পরীক্ষা। করোনার কারণে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্থগিত। স্কুলপর্যায়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষাও অনিশ্চিত। বেসরকারি অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অর্থসঙ্কটে বন্ধের উপক্রম। এ অবস্থায় সবার মনে প্রশ্ন কবে খুলবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এদিকে সরকারের নির্দেশে ইতোমধ্যে সীমিত পরিসরে চালু হয়েছে সরকারি অনেক অফিস। পোশাক কারখানা তো আগে থেকেই খোলা।

পাড়া মহল্লার কাঁচাবাজার ও দোকানপাটও চলছে যথারীতি। চলতি সপ্তাহ থেকে ব্যস্ততা বাড়বে ব্যাংক পাড়ায়ও। মার্কেট এবং শপিংমলও খুলছে। শিগগিরই রাস্তায় চালু হবে গণপরিবহন। খুলে দেয়া হয়েছে মসজিদ। বর্তমানে খুলে দেয়ার এই অবস্থা বজায় থাকলে রোজা এবং ঈদের পরেই স্বাভাবিক হবে সবকিছু। মানুষের জীবনযাত্রাতেও স্বাভাবিক গতি ফিরে আসবে। তাই অভিভাবকদের অনেকেই মনে করছে সবকিছু যখন খুলে দেয়া হচ্ছে তাহলে হয়তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া হতে পারে। তাদের ধারণা ঈদের পরপরই হয়তো খুলে দেয়া হতে পারে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়।

সচেতন অভিভাবকদের অনেকে বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া যদি অন্য সবকিছু খুলে দেয়া হয়, তা হলে দেখা যাবে শিক্ষার্থী ঘরে থাকলেও তার বাবা কাজের জন্য বাইরে যাচ্ছেন। মা হয়তো তার প্রয়োজনেই নির্দ্বিধায় বাজার কিংবা মার্কেটে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বাবা-মা যদি সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে স্বাভাবিকভাবে বাইরে চলাফেরা করতে থাকে, তাহলে যে উদ্দেশ্যে স্কুল কলেজ বন্ধ, শিক্ষার্থীদের সেই নিরাপত্তাই বা কতটুকু প্রতিপালন হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ জারি করা ছুটির নোটিশে দেখা গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বর্ধিত করে ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে খবর ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাচ্ছে। তবে শিগরিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে এমন খবরকে গুজব বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শনিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘৩০ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভাবছি। দেশের অফিস-আদালত বন্ধের আগে প্রথমেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। করোনার শিশুদের নিয়ে ঝুঁকি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। ১৮ মার্চ থেকে কয়েক দফার ছুটি বাড়ানো হয়েছে। চলমান ছুটি ৩০ মে পর্যন্ত চলবে। প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনই আমরা আর কোনো চিন্তাভাবনা করছি না। অন্তত ২৫ তারিখের পর এটা নিয়ে চিন্তা করব। ছুটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিষ্ঠান খোলার কোনো চিন্তাভাবনা নেই।’

তিনি বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির ওপর বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। যদি কেউ বলে থাকে প্রতিষ্ঠান দ্রুতই খোলা হবে তাহলে তা সম্পূর্ণ গুজব। ৩০ মে পর্যন্ত ছুটি চলবে, এরপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন