শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়ে ভয়াবহ সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়ে ভয়াবহ সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস

Avatar

বুধবার, এপ্রিল ২৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অদূরে উৎপত্তি হওয়া মেঘমালা থেকে সৃষ্ট লঘুচাপটি বঙ্গোপসাগরে বুধবার (২৯ এপ্রিল) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম একটি ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০ এপ্রিল থেকে ৫ মের মধ্যে এর প্রভাব থাকবে। ২ মের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আর সেটি হলে এর আগাম নাম ঠিক করা আছে ‘আম্ফান’।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস বলছে, নিম্নচাপটি আগামী দুই দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। এর প্রভাব বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। দেশের অন্যত্র মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথাও বলছে তারা।

ফলে সারা দেশে যে বৃষ্টি চলছে, তার স্থায়িত্ব আরও চার থেকে পাঁচ দিন বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। অন্যদিকে বৈশ্বিক আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা আকু ওয়েদার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তবে মৌসুমি বায়ু আসার আগের এই সময়ে কোনো নিম্নচাপ খুব বেশি শক্তি সঞ্চয় করতে পারে না।

তবে এর সঙ্গে প্রচুর মেঘ তৈরি হয়। ফলে এর প্রভাব যতটা না বাতাস বইবে, তার চেয়ে বেশি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা বেশি। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা মনে করছেন, আপাতত নিম্নচাপটির মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘পাঁচ দিন ধরে যে ধরনের বৃষ্টি হচ্ছে, তা আজ বুধবারও অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে।’ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে টাঙ্গাইলে, ৭৭ মিলিমিটার।

আর রাজধানীতে চার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের উপকূলীয় জেলাগুলোতেও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। আজও একই ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন