আফগানিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে আজ দুই ভাগে ভাগ হয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ দল। এক দলের অধিনায়কের দায়িত্বে ছিলেন তামিম। অন্য দলের অধিনায়কের দায়িত্বে মুশফিক। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিমের দলে ১৯৫ রানের টার্গেট ছুড়ে দেয়। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৫৩ রানে অল আউট হয় মুশফিকরা। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ ছিল মুশফিকদের।
প্রথম ওভারেই আবু হায়দার রনিকে লেগ সাইডে ৪টি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভালো করার ইঙ্গিত দেন এনামুল হক বিজয়। কিন্তু এরপরের ওভারেই রুবেল হোসেনের বলে বিদায় নেন তিনি। তারপর সৌম্য সরকারের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ দেন মুশফিকুর রহীম।
কিন্তু মসুহফিকেও ফিরেন সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক-ইমরুলের ব্যাটে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করে মুশফিকের দল। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে লং অফে রাজ্জাকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন। পঞ্চম উইকেটে ইমরুলের সাথে যোগ দেন নাজমুল হোসান শান্ত।
দারুণ খেলতে থাকা ইমরুল কায়েস পেস বোলিং অলরাউন্ডার আরিফুলের ফুল ল্যান্থের বল সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে আউট হন। দলের বিপর্যয়ে ব্যাট হাতে পারফর্ম করতে ব্যর্থ হয়েছেন মমিনুলও। তিনি আরিফুলের দ্বিতীয় শিকার হয়েছেন লং অনে রাজ্জাকের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
শেষ দিকে মুশফিকদের জয়ের আশা অনেকটাই নিভিয়ে দেন টাইগার পেসার রুবেল হোসেন। আবুল হাসানকে আবু হায়দার রনির দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরানোর পর শান্তকে মিড উইকেটে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচ বানিয়েছেন এই পেসার। পরের দুইট উইকেট একসাথেই নেন মেহেদি মিরাজ। ফলে ১৮ অভারেই ১৫৩ রানের ইনিংস শেষ হয় তামিমের দলের। আর ম্যাচটি ৪২ রানে হারে মুশফিকের দল।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন