মাত্রই শেষ হয়েছে মাস্টার্স ক্রিকেট কার্নিভাল যেখানে অংশ নিয়েছিলেন দেশের সাবেক ক্রিকেটাররা। মূলত সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহাদ্র বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই কক্সবাজারের শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বসেছিলো এই আসরটি।
তবে সম্প্রীতির এই খেলাতেও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। টুর্নামেন্টের ফাইনালে খালেদ মাসুদের নেতৃত্বাধীন রাজশাহী মাস্টার্সের মুখোমুখি হয়েছিলো খালেদ মাহমুদের ঢাকা মাস্টার্স।সেই ম্যাচে ৫ উইকেটের দারুণ এক জয় দিয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছিলো ঢাকা। তবে সেই জয়কে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে মাহমুদের এক অপ্রীতিকর আচরণের ঘটনা। এদিন জয়ের জন্য ঢাকার সামনে ১২৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিলো খালেদ মাসুদের রাজশাহী।
এরপর ঢাকা ব্যাটিংয়ে নামার পর দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আসেন আলমগীর কবির। তাঁর ওভারের একটি বল ঢাকার ব্যাটসম্যান রাশিদুল হক সুমন উড়িয়ে মেরেছিলেন। সেসময় উইকেটরক্ষক কাম অধিনায়ক খালেদ মাসুদ দৌড়ে ষ্ট্যাম্পের পাশে দৌড়ে চলে আসেন।সেই সময় আরেক প্রান্ত থেকে দৌড়ে আসছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। পরবর্তীতে পাইলটের সাথে তাঁর ধাক্কা লাগে। এর ফলে সুমনের ক্যাচটি তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন পাইলট। এই কারণে ইচ্ছাকৃতভাবে ফিল্ডিংয়ে বাধা দেয়ায় আম্পায়ার অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট ঘোষণা করেন খালেদ মাহমুদকে।
আর এই আউটেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সুজন। রাগের আতিশয্যে একটা সময় ব্যাট দিয়ে উইকেটেও আঘাত করতে দেখা যায় তাঁকে। শুধু তাই নয়, ষ্ট্যাম্পও ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় ম্যাচ অফিসিয়াল এবং বাকি ক্রিকেটাররা এসে ঠান্ডা করেন সুজনকে।তবে পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে দোষটি আসলে সুজনেরই। ক্রিকেটের নিয়ম অনুযায়ী ফিল্ডারকে ইচ্ছাকৃতভাবে ক্যাচ মিস করানো হলে ব্যাটসম্যানকে অবস্ট্রাক্টিং দ্য ফিল্ড আউট ঘোষণা করতে হবে আম্পায়ারদের। সেই কারণেই সুজনকে আউট দেয়া হয়েছিলো। আর এতেই বিতর্কের জন্ম দিয়ে সম্প্রীতির টুর্নামেন্টটিকে অপ্রীতিকর করে তুললেন তিনি।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন