শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   হু হু করে কমছে সোনার দাম হুমরি খেয়ে পরছে ক্রেতারা

হু হু করে কমছে সোনার দাম হুমরি খেয়ে পরছে ক্রেতারা

Avatar

বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

প্রিন্ট করুন

করোনা আবহের সময় থেকেই বিশ্বব্যাপী আর্থিক মন্দা চলছে। যার ফলে এই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সমস্ত দেশগুলি। কিভাবে দেশ এর অর্থনৈতিক পরিকাঠামো আগের মত চাঙ্গা করা যায় সেই চেষ্টাই চলছে। এই আর্থিক মন্দার ফলে দেশ বিদেশে সব জায়গায় সোনা সহ অন্যান্য ধাতব পদার্থের বস্তুর প্রায় দিনই ওঠা নামা করছে। গত সপ্তাহ থেকে আমাদের দেশে সোনা ও রূপার দামে রেকর্ড পতন হয়েছিল। গতকাল বুধবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারের পাশাপাশি ভারতে কমলো সোনার দাম।

ভারতে সোনা সহ রূপো ধাতুর দাম এর শেয়ার নির্ধারণ করেন মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অফ ইন্ডিয়া। গতকাল বাজার বন্ধের পূর্বে এর শেয়ারের ধাতুর দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু আজ সকাল থেকেই ক্রমে ক্রম সোনার দামের পতন হয়েছিল।

আজ ভারতীয় মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সোনার ও রুপোর দেশীয় বাজারে বাজার দর ছিল নিম্নমুখী। বিগত আগস্ট মাস রেকর্ড স্তরে সোনার দামে পতন হয় প্রায় ৫৬ হাজার ২০০ টাকায়। গতকাল মঙ্গলবার ভারতের মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে বাজার বন্ধ হওয়ার সোনা ও রুপো শেয়ারের বৃদ্ধি পেয়েছিল। সকালে সোনার ফেব্রুয়ারি ফিউচার মূল্য প্রায় ০.২৪ শতাংশ হারে হ্রাস পেয়েছে। ফল স্বরূপ ১০ গ্রাম সোনার দাম প্রায় ৪৮ হাজার ৪৪৯ টাকা এসে ঠেকেছে ।

অন্যদিকে, প্রতি ১ কেজি একইভাবে মূল্য প্রতি কিলোতে হ্রাস পেয়েছে ১ শতাংশ। রুপোর দাম প্রতি কিলোগ্রামের দাম হয়েছে প্রায় ৬২ হাজার ৫৫৯ টাকা। অর্থাৎ , প্রতি কেজিতে প্রায় ২ শতাংশ হারে মূল্য হ্রাস পেয়েছে। গতকাল বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে ৭০০ টাকা সোনার দর বেড়েছিল। যা প্রায় ১.৪ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হয়েছিল।

বিশ্ব বাজারে আজকে সোনা-রুপোর বাজার দর ছিল নিন্মমুখী। গতকাল সোনার দাম প্রায় ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও আজ সকাল থেকেই ক্রমাগত পতন হয়েছিল। বিশ্ব বাজারে আজ প্রায় ০.১ শতাংশ হারে হ্রাস হয়ে সোনার দাম দাড়িয়েছে ১,৮১৩.৭৫ মার্কিন ডলার।

করোনাকালে দেশ সহ সমস্ত বিশ্বের অর্থনীতি বর্তমানে দুর্বল, কাজ কারবার বন্ধ থাকায় অনেক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতির ব্যাবস্থা চাঙ্গা করতে দেশগুলি কে অর্থনৈতিক পরিকাঠামো এর উন্নতি সাধন করতে হবে। সাথে ভ্যাকসিন বেরোলে এই অতিমারিকে প্রতিরোধ করা যাবে। অন্যদিকে স্টিমুলাস প্যাকেজের অতিরিক্ত প্রত্যাশা থাকা সত্বেও, সোনা সহ অন্যান্য ধাতব পদার্থ সহ জিনিস পত্রের দাম একটা সীমারেখার মধ্যে থাকতে পারে। বিশ্ব বাজারে অর্থনৈতিক অবস্থা চাঙ্গা হতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন