নাজমুল একাদশকে প্রথম থেকেই নাকানিচুবানি খাওয়াতে থাকেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম দুই ওভারেই একটা মেডেন দিয়ে এক উইকেট নেয়ার পর ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে এসে আবারও আঘাত হানেন মুস্তাফিজ।
তামিম একাদশের ছুড়ে দেয়া ২২২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই বিপাকে পড়েছে নাজমুল একাদশ। দলীয় সাজঘরের পথ ধরেন নাজমুল একাদশের ওপেনার সাইফ হাসান। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও এদিক ব্যক্তিগত ১ রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে লড়াই শুরু করেন মুশফিকুর রহিম এবং সৌম্য সরকার। সৌম্য অবশ্য এদিন নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেন নি। ৩৯ বল মোকাবেলা করে ক্রিজে সেট হলেও তার ব্যাট থেকে এসেছে কেবল ৯ রান।
সৌম্যর বিদায়ের পর একে একে ফেরত যান ২৭ রান করা আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ৪ রান করে বিদায় নেন তৌহিদ হৃদয়ও। মুশফিকের সাথে ইরফান শুক্কুর অবশ্য কিছুটা সামাল দিয়েছেন চাপ। তবে সাইফউদ্দিনের বলে রান আউট হয়ে ইরফান শুক্কুর ফিরে গেলে একাই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিক।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪১ ওভার শেষে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ ১৮১ রান ৮ উইকেট হারিয়ে। মুশফিক অপরাজিত আছেন ৭৩ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা তামিম ইকবাল একাদশ শুরুটা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। দলীয় ১৪ ও ব্যক্তিগত ৮ রানে সাজঘরের পথ ধরেন তানজিদ হাসান তামিম। দেখেশুনে খেলতে থাকেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলীয় ৪৪ রানে পেসার তাসকিন আহমেদের শিকার হয়ে এনামুল হক বিজয় ফিরে গেলে আবারও ছন্দপতন ঘটে তামিম একাদশের।
মিডল অর্ডারে শাহাদাত হোসেনের ৩১ রানের সাথে ওপেনার তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। তবে লেজের দিকে তাইজুল ইসলামের সাথে জুটি গড়েন মেহেদি হাসান। বিপিএল মাতানো মেহেদি হাসান দলের রানের গতি বাড়িয়ে দেন। ৫৭ বল মোকাবেলায় ৮২ রানের দুর্দন্ত ইনিংস খেলেন মেহেদি। ইনিংসের মাত্র দুই বল বাকি থাকতে মাকিদুল ইসলাম অঙ্কনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন মেহেদি। এছাড়া তাইজুলের আত্মবিশ্বাসী ২০ রানের ইনিংস ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ ২২১ রানে নিয়ে যান তারা।
বল হাতে নাজমুল একাদশের হয়ে আলামিন হোসেন ৩টি, নাইম হাসান ২টি, রিশাদ হোসাইন ২টি এবং তাসকিন আহমেদ নেন ও মাকিদুল ইসলাম নেন ১টি করে উইকেট।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন