সাম্প্রতিক সময়ে বলি পাড়ায় সিনেমা মুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা না থাকলেও নানা রকম সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে প্রতিনিয়তই। সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডে মাদক কাণ্ডের যে কালো ছায়া পড়তে শুরু করে সেটা যেন ক্রমেই মাত্রা বাড়িয়ে যাচ্ছে।
বলিউডের প্রভাবশালী অভিনেতা ও পরিচালকদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার গুঞ্জন উঠলে বেজায় চটেছেন নামকরা সব অভিনেতা ও প্রযোজক প্রতিষ্ঠান। তাদেরকে নিয়ে অপপ্রচারের দায়ে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও শোনা গিয়েছে।
এদিকে সুশান্তের মৃত্যুর পর সামাজিক মাধ্যমে সরব অবস্থানে থাকা কঙ্গনা রানৌতকে গ্রেফতার করা হতে পারে এমন খবরও প্রকাশ হয় মিডিয়ায়। তবে এতেও দমে যাবার পাত্রী নন এই বলিউড কুইন। গতকাল (১২ অক্টোবর) টুইট বার্তায় বলিউডের নেপোটিজম ও মাদক কাণ্ডে আবারও বোমা ফাটান তিনি।
কঙ্গনা এক টুইটে বলেন, ‘’বলিউড হল মাদক, শোষণ, নেপোটিজম ও জিহাদে ভরা একটি নর্দমা। এই নর্দমা পরিষ্কার করার বদলে এটার ঢাকনা খুলে রাখা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধেও মামলা করো। যতদিন আমি বেঁচে থাকব ততদিন সবার মুখোশ খুলে দিতে থাকব।”
বলিউডে প্রভাবশালী বয়স্ক অভিনেতাদের দিকে আঙুল তুলে কঙ্গনা আরও জানান সুশান্তের মত তরুণদেরকে তারা বলিউডে আসতে দেয় না। টুইট বার্তায় তিনি আরও লেখেন, ‘’বড় হিরোরা শুধু যে মহিলাদের বস্তুরূপে দেখে তাই নয়, তরুণীদের শোষণও করে। সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো তরুণ ছেলেদের এরা উঠে আসতে দেয় না। ৫০ বছর বয়সেও এরা স্কুল পড়ুয়াদের চরিত্রে অভিনয় করতে চায়। তাদের চোখের সামনে কোনো অন্যায় হলেও এরা কারোর পক্ষে সরব হন না।‘’
বলিউডে একজন অন্য জনের দোষ গোপন রাখতেই বেশি পছন্দ করে, এমনটা দাবি করে কঙ্গনা আরও লেখেন, ‘’ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটা অলিখিত আইন আছে। তুমি আমার নোংরামিটা গোপন রাখো, আমিও তোমারটা রাখবো। এভাবেই তারা নিজেদের আনুগত্য বজায় রাখে। যেদিন থেকে আমি জন্মেছি আমি দেখে আসছি ফিল্মি পরিবারের কয়েকজন পুরুষই ইন্ডাস্ট্রিটা শাসন করে। এটা কবে পরিবর্তন হবে।‘’
‘’বহু বছর ধরে বলিউডে বুলি করা শোষনের বিরুদ্ধে আমি বলে আসছি। একজন শিল্পী মৃত। সুশান্তের মৃত্যুর পর যদি বলিউডের এই নর্দমা পরিস্কার শুরু হয় তাতে ওদের এত সমস্যা হচ্ছে কেন? আমার কাছেও এর বিস্তৃত খবর রয়েছে।‘’ যোগ করেন কঙ্গনা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন