এবার ফেঁসে যাচ্ছেন রিয়া। নতুন এক মামলায় রিয়া এবং তার সহযোগীদের হতে পারে দশ বছরের জেল। নানা রকম নিষিদ্ধ মাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন রিয়া এবং তার সঙ্গীরা এমনটা ধারনা করা হচ্ছে।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা কে কে সিং এর করা মামলায় বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসবাদ করা হয়েছে রিয়াকে। পুলিশ থেকে ইডি এবং বর্তমানে মামলাটির তদন্তভার রয়েছে সিবিআই এর কাছে। রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হওয়া নিয়ে ইতোমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে সামাজিক মাধ্যমে। তদন্তের স্বার্থে সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ইস্যুতে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন রিয়া।
ইডির তরফ থেকে আবারও রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হলে তার ভাই সৌভিককে নিয়ে থানায় যান তিনি। রিয়ার সম্পূর্ন বয়ান রেকর্ডও করেছে ইডি। জানা গেছে সুশান্তের অ্যাকাউন্ট থেকে রিয়া সরিয়েছেন ১৫ কোটি টাকা। বেশ কয়েক দফায় তোলা এই তাকার খোঁজ দিতে পারেননি রিয়া। ফলে ২০১৯ সাল থেকে রিয়ার ভ্রমণ সহ সম্পত্তি কেনাকাটার ব্যাপারটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ইডির পক্ষ থেকে।
অন্যদিকে সুশান্তের হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডা, দীপেশ এবং জয় সাহার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে মিলেছে মাদক সংশ্লিষ্ট অনেক তথ্য। তাদের চ্যাটে মিলেছে MDMA এবং HASH মাদকের কথা।
শুধু তাই নয় রিয়ার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে মিলেছে CBD মাদকের কথাও। ধারনা করা হচ্ছে সুশান্তের কফির সাথে এসব মিশিয়ে তাকে পান করানো হত এসব নিষিদ্ধ মাদক।মাদকের এমন সংশ্লিষ্টতার ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পরই রিয়া এবং তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৮ এবং ২০ বি ধারায় মামলাও করা হয়েছে।
মামলাটির তদন্ত করছে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো। রিয়া এবং তার সঙ্গীদের নারকোটিকস টেস্ট এবং রক্ত পরীক্ষা করার পর যদি এই সকল মাদকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় এবং তদন্তে যদি সবকিছু প্রমাণ হয় তাহলে দশ বছরের জন্য জেলে যেতে পারেন রিয়া এবং তার সঙ্গীরা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন