শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সময় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার চূড়ান্ত সময় জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

Avatar

বুধবার, জুলাই ২৯, ২০২০

প্রিন্ট করুন

মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে রাজ্যের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মেয়াদ ছিল ৩১ জুলাই পর্যন্ত। তবে এবার আরও বাড়লো বন্ধের সময়। পাশাপাশি অল্টারনেটিভ ক্লাস নেয়ার সময়ও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বর্তমানে পুরো ভারত জুড়েই চলছে করোনার দাপট। করোনার প্রকোপে কয়েক দফা লকডাউনের পর এখনও কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় চলছে লকডাউন। সংক্রমন ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তাই নতুন করে তৎপরতা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার।

করোনার সংক্রমন যেহেতু উর্ধ্বগামী তাই সবশেষ ছুটির মেয়াদ ৩১ জুলাই থাকলেও সেটা পুনরায় বৃদ্ধি করে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। করোনার সংক্রমন যদি কমে আসে তাহলেই কেবল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

আগামী ৫ সেপ্টেম্বর থেকে অল্টারনেটিভ ক্লাস শুরু করার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘’যদি সব কিছু ঠিকঠাক থাকে, আমরা ৩১ অগস্টের মধ্যে বলে দেব। আমাদের লক্ষ্য ৫ সেপ্টেম্বর, ডক্টর রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন, শিক্ষক দিবস। যদি পরিস্থিতি অনুকূল হয়, সেদিন থেকে দুর্গাপুজোর আগে পর্যন্ত এক মাস অল্টারনেটিভ দিনে অল্টারনেটিভ ক্লাস করতে দেব।‘’

অন্যদিকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ইউজিসির কাছে বিশেষ দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চতুর্থ বর্ষ ও চূড়ান্ত সেমিস্টারের মূল্যায়ন নিয়ে ইউজিসির দেয়া প্রথম নির্দেশ বলবৎ রাখার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন এখন যেহেতু কোনো কিছুই খোলা নেই তাই পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক আর কবে সব খুলবে তারও নিশ্চয়তা নেই। তাই যাতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা না নেয়া হয় এমন দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এদিকে ইউজিসি এবং কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল সেপ্টেম্বরে অবশ্যই পরীক্ষা নেয়া হবে। তবে এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা বেশ আগে থেকেই। মুখ্যমন্ত্রী নিজে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে লিখিতভাবে দাবি জানিয়েছিলেন এই সময়ে পরীক্ষা নেয়া বাধ্যতামূলক করা চলবে না। ইউজিসি এপ্রিলে জানিয়েছিল পরীক্ষা ছাড়াই গ্রেড দেয়া হবে। দ্বিতীয়বার জনানো হয়েছে পরীক্ষা বাধ্যতামূলক দিতেই হবে। বাধ্যতামূলক পরীক্ষার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করেছেন তৃণমূলের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ওয়েবকুপা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন