গালওয়ানে কুড়ি জওয়ানের প্রাণহানি দিয়ে শুরু ভারতের সাথে চীনের নতুন দ্বন্দ্ব। ইতিপূর্বে চীনের আগ্রাসনমূলক আচরণকে যেন এবার ছাপিয়ে গেছে গালওয়ানের কাণ্ড। ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের উপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় পুরো বিশ্ব জুড়ে দুয়ো পেতে হয়েছে চীনকে। লাদাখ সীমান্তে চীনের ভারী অস্ত্রসজ্জা বসানোয় উত্তেজনাও বৃদ্ধি পেয়েছে বহুগুণ।
চীনকে রুখে দিতে ইতোমধ্যেই ভারতে ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। জনপ্রিয় অ্যাপ টিকটক সহ অন্যান্য জনপ্রিয় অ্যাপও রয়েছে এই তালিকায়। এই অ্যাপ বন্ধের কারনে চীনের প্রতিদিন যে পরিমানে অর্থের গচ্চা দিতে হচ্ছে চীনকে তাতে খানিকটা বিপাকেই পড়তে হয়েছে। আর ভারতও গোলাবারুদের বদলে এমন আক্রমণ করে অনেকটাই সফল।
অন্যদিকে চীনের এমন আক্রমণের ফলে ভারতের অনেক অঞ্চলেই চীনা পন্য বর্জনের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ফলে চীনের অর্থনৈতিক বড় একটি বাজার যেখানে ভারতে সেখানেই যদি ধীরে ধীরে সকল চীনা পন্য বন্ধ হয়ে যায় তাহলে লম্বা সময়ের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে চীন।
চীনের সাথে মোকাবেলা করার জন্য আরও একটি নয়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে চীন থেকে এখন আর বৈদ্যুতিক কোনো সরঞ্জাম খরিদ করবে না ভারত। ফলে দিক থেকেও নতুনভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে চীন।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী আর. কে. সিংহ জানান চীন থেকে আর কোনো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয় করা হবে না। গতকাল রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীদের সাথে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত জানানো হয়। শুধু চীনই নয় পাকিস্তান থেকেও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রতিবেশি দেশ চীনের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের নেয়া এমন পদক্ষেপকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন। চীনকে ঘায়েল করার জন্য কুটনৈতিক এই কৌশল বেশ কার্যকরী হিসেবেও দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা। চীনকে রুখে দিতে দীর্ঘ সময় ধরে যদি চীনা পন্যের ব্যবহার এভাবে বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলেই দেয়া হয়ে যাবে মোক্ষম জবাব।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন