শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   বড় বিপদের আশঙ্কা ধ্বংস হতে পারে বহু প্রজাতি

বড় বিপদের আশঙ্কা ধ্বংস হতে পারে বহু প্রজাতি

Avatar

রবিবার, জুলাই ৫, ২০২০

প্রিন্ট করুন

পুরো বিশ্বের বহু ক্ষমতাধর রাষ্ট্র তাদের পারমানবিক ভিত্তিক বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্রে নানান গবেষণা চালিয়ে সেগুলো পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখছে। তাদের এই পারমানবিক পরীক্ষাগার থেকে মাঝেমধ্যেই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ছে বাইরে। প্রাণীজগত তো বটেই মানবদেহের জন্যও যে বেশ ক্ষতিকর এই বিষাক্ত বাতাস তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিকে হুট করেই ইউরোপের বাতাসের তেজস্ক্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সেই সব অঞ্চলে।মূলত উত্তর ইউরোপ এবং সুমেরু অঞ্চলে বাতাসের তেজস্ক্রিয়তায় ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তবে ঠিক কী কারনে বাতাসের এই পরিবর্তন সেটার সুরাহা করতে পারেননি গবেষকরা।

অনেক বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার দিকে আঙুল তুললেও তা অস্বীকার করেছে রাশিয়া। রুশদের দাবি সেন্ট পিটসবার্গ এবং মুরমানস্কের যে দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে সেগুলো থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।রুশ এজেন্সি টিএসএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘’আমাদের দুটি পাওয়ার প্ল্যান্টে কোনো সমস্যা নেই। তেজস্ক্রিয় বিকিরণও সহনীয় মাত্রাতেই রয়েছে।‘’

অন্যদিকে নরওয়ে ও সুইডেনের নিউক্লিয়ার সেফটি সংক্রান্ত সংস্থা ‘দ্য ফিনিশ’ জানিয়েছে, বাতাসে তেজস্ক্রিয় বিকিরন কিছুটা বেড়েছে। তবে সেটা মানুষের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর নয়। ফিনল্যান্ড, স্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং সুমেরুর কিছু অংশে এই বিকিরণ দেখা গিয়েছে।

শুধু তাই নয় সুইডিশ রেডিয়েশন সেফটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা বাড়ার ব্যাপারে এখনই জানা সম্ভব নয়। নেদারল্যান্ডসের ‘পাবলিক হেল্থ অ্যান্ড দ্য এনভায়রনমেন্ট’ অবশ্য এই কর্মকাণ্ডের সাথে রাশিয়াকে দায় দিয়েছে। তাদের মতে কিছু রেডিওঅ্যাকটিভ আইসোটোপ সরাসরি রাশিয়ে থেকেই এসেছে। তবে সেগুলোর সংখ্যা কম বলে এখনই সেগুলোর উৎস খুঁজে পাচ্ছে না তারা।

এখন পর্যন্ত যে মাত্রায় তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে সেটা মানবদেহের জন্য খুব বেশি ক্ষতি বয়ে না আনলেও এর মাত্রা যদি আর অল্প কিছু বেড়ে যায় তাহলে ক্ষতি তো বটেই কিছু প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার শঙ্কাও প্রকাশ করেছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন