চীন ও ভারতের মধ্যে একমাত্র প্রধান প্রচলিত দ্বন্দ্ব ১৯৬২ সালে একবার হয়েছিল।তবে যুদ্ধের পর দশকগুলিতে, দুটি এশীয় দেশ বিশাল অস্ত্র তৈরি করেছে এবং দুটি পারমাণবিক-সশস্ত্র দেশগুলির মধ্যে বৈরীতা বেড়েছে।
সোমবার রাতে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের পরে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন সেনা নি’হত হওয়ার পরে হঠাৎ করে দু’দেশের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়।
লাদাখের গালওয়ান সীমান্তে গত এক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা বাড়ছে ভারত ও চিনের সেনাবাহিনীর মধ্যে। উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও কূটনৈতিক বৈঠকেও মেটেনি সমস্যা। দুই দেশের মধ্যে তৈরি হয়েছে যু’দ্ধ পরিস্থিতি। এই অবস্থায় দেখে নেওয়া যাক দুই দেশের বিমান বহরের শক্তি। এই মুহূর্তে যুদ্ধ কোন দেশ বেশি সুবিধা পাবে, কোন দেশ পিছিয়ে যেতে পারে তা বোঝা যাবে তাদের সামরিক বাহিনীর সাজ সরঞ্জামের যোগানে।
এই মুহূর্তে যুদ্ধ বাধলে ভারত যে সমস্ত যুদ্ধ বিমান ব্যবহার করতে পারে বা যে সমস্ত যুদ্ধাস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে তা দেখে নেওয়া যেতে পারে। এই মুহূর্তে ভারতের হাতে মজুত রয়েছে পশ্চিমাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধীনস্থ ৭৫ টি ফাইটার জেট। যা আকাশপথে শত্রু পক্ষের শিবিরে হানা দিতে পারে অনায়াসে। রয়েছে ৬৮ টি গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ও ৫ টি এডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড।
মধ্যাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধীনে রয়েছে ৯৪ টি ফাইটার জেট। একইসঙ্গে রয়েছে ৩৪ টি গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফট ও ১ টি এডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড। পূর্বাঞ্চলীয় কম্যান্ডের অধীনে রয়েছে ১০১ টি ফাইটার জেট ও ৯ টি এডভান্স ল্যান্ডিং গ্রাউন্ড। এই সমস্ত অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র দিয়ে বিপক্ষ শিবিরের সঙ্গে জোরদার টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ভারত।
তবে শুধু ভারত নয়, তৈরি রয়েছে চিনও। লাদাখের আশেপাশের ৮ টি বিমানঘাঁটি তৈরি রেখেছে বেজিং। জিংজিয়াং প্রদেশ ও তিব্বত এলাকায় রয়েছে ঘাঁটি গুলো। একইসঙ্গে ১৫৭ টি ফাইটার জেট, ৫২ টি জিজে ১, ডব্লিউভি ১ অ্যাটাকিং ইউএভি প্রস্তুত রেখেছে জিনপিংয়ের দেশ।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন