শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   অবশেষে চূড়ান্ত ওপেনিং এ যাকে বাছাই করল বিসিবি

অবশেষে চূড়ান্ত ওপেনিং এ যাকে বাছাই করল বিসিবি

Avatar

সোমবার, আগষ্ট ২৬, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শুরু হতে আর মাত্র দিন কয়েক বাকি। আজ বিসিবি একাদশের দল ঘোষণা করা হলেও মূল টেস্টের দল ঘোষণা করতে নির্বাচকেরা কিছুটা সময় নিচ্ছেন । জানা গেল, আরো তিন-চারদিন পর মূল স্কোয়াডের নামগুলো জমা দিবেন মিনহাজুল আবেদিন ও হাবিবুল বাশার।

এর কারণ, আফগানিস্তান টেস্টে রীতিমতো ‘কচি বাচ্চা’ হলেও একদম হাল্কাভাবে নেওয়ারও সুযোগ নেই। বিশেষত তরুণদের পরিক্ষা করার জন্য এটা মোক্ষম সুযোগই বটে। এই যেমন তামিম ইকবালের জায়গায় তরুণ সাদমানকে খেলানোর চিন্তাভাবনা করছেন হাবিবুল বাশাররা।

আজ মিরপুরে বিসিবি একাদশের দল জমা দেওয়ার পর এমনটাই জানিয়েছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার ৷ তিনি বলেন, ‘সে (সাদমান) কয়েকটি সিরিজ দলের সঙ্গে আছে, খারাপ কিন্তু করেনি। এখনো সে তরুণ। মাত্র শুরু করেছে এত অভিজ্ঞ নয়, যেহেতু তামিম সঙ্গে ছিল ওর ওপর চাপ এতটা ছিল না। ওকে দিয়ে একেবারে নতুন করে শুরু করব কি না সে চিন্তা আছে। আবার হয়তো পুরোনো কাউকে নিলাম যেন একজন তরুণের সঙ্গে অভিজ্ঞ কেউ থাকল। এসব বিষয় নিয়েই আমরা চিন্তা করছি। এ কারণে স্কোয়াড ঘোষণা করতে একটু দেরি হচ্ছে আমাদের।’

বিশ্রাম নেওয়ার কারণে আসন্ন বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্ট ও ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না জাতীয় দলের বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। সাধারণত দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানকে কেন্দ্র করেই সাজানো হয় ব্যাটিংয়ের সব পরিকল্পনা। তার অনুপস্থিতিতে তাই বেশ ভাবতেই হচ্ছে নির্বাচক প্যানেল ও টিম ম্যানেজমেন্টকে।

তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বন্ধু তামিমের অনুপস্থিতিতে চিন্তিত নন। তিনি মনে করেন, কোনো খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতিতে বদলি হিসেবে যিনিই আসবেন তিনি নিজ যোগ্যতা দিয়ে ঘোচাতে পারবেন ঘাটতি। অধিনায়ক হিসেবে দলের সবার উপরই সমান আস্থা তার।

সাকিব বলেন, ‘যে জায়গাগুলো ফাঁকা হয় সেই জায়গাগুলো নিয়ে আমরা সচেতন থাকি, সবসময় আলাপ-আলোচনা করি। সবাই আলাপ-আলোচনা করার পর আমরা একটা সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছাই যে, এই খেলোয়াড় এই এই কারণে এই পজিশনে মানানসই হবে। তারপর আমরা আসলে নির্বাচন করি। জায়গা দেওয়া-না দেওয়া বড় কথা না।’

সাকিবের দাবি, দলে তরুণদের সুযোগ দিলে তা নতুন খেলোয়াড় তৈরির অভিপ্রায়ে নয়, বরং দলের সাফল্যের কথা চিন্তা করেই করা উচিৎ।

তার ভাষ্য, ‘প্রতিটি দল কিন্তু খেলতে নামে জেতার জন্য। দলগুলো যখন ম্যাচ খেলতে যায় তখন কিন্তু এটা চিন্তা করে না যে- আমরা খেলোয়াড় তৈরি করতে যাচ্ছি কিংবা নতুন খেলোয়াড় দেখার জন্য যাচ্ছি। হয়ত নতুন খেলোয়াড়ও দেখা হতে পারে, কিন্তু দিনশেষে লক্ষ্য থাকে ম্যাচ জেতার। আমরাও ঐ লক্ষ্য নিয়েই খেলব।’

দলের প্রয়োজনেই নির্ধারণ করা হবে অভিজ্ঞরা খেলবেন নাকি তরুণরা- এমনটি উল্লেখ করে সাকিব জানান, ‘যদি নতুন খেলোয়াড় নেওয়ার দরকার হয়, তাহলে নতুন খেলোয়াড় নেব। যদি দেখি অভিজ্ঞদের পারফর্ম করার সম্ভবনা আছে তাহলে ওরাই খেলবে।’

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন