প্রথম দিন শেষে টেস্টে ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। শুরুটা ভালো হলেও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় ২৫০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে পুরো দল ব্যর্থ হলেও ব্যক্তিগত অর্জনে আজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন তামিম ইকবাল।
এশিয়ার টেস্ট ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব বিবেচনা করা হয় এশিয়ার বাইরে খেলোয়াড়দের টেস্ট পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে। এশিয়ার বাইরের কঠিন চার দেশের ( ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড) মাটিতে রান করা বরাবরের মতই কঠিন ব্যাপার এশিয়ান খেলোয়াড়দের জন্য। টেস্টে খুব কম এশিয়ান ব্যাটসম্যানই এইসব কন্ডিশনে ভালো করতে পেরেছেন। আজকের শতকের মধ্য দিয়ে তামিম ইকবাল এশিয়ান ওপেনারদের মাঝে নিজেকে এক উচ্চ স্থানে নিয়ে গেলেন।
এই শতাব্দীতে ( ২০০০ – ২০১৯) এশিয়ান ওপেনারদের মাঝে এশিয়ার বাইরের এই চার দেশে সবচেয়ে বেশি শতক তামিম ইকবালের যৌথভাবে। তবে ইনিংস সবচেয়ে কম খেলায় তার নামটি আগে আসবে। মাত্র ১৯ ইনিংসে ৩ টেস্ট শতক তামিমের। প্রথমটি ২০১০ সালে লর্ডসে, ২য় শতক পরের টেস্টেই ম্যানচেস্টারে, ৩য় শতক আজ হ্যামিল্টনে। ভারতীয় লিজেন্ডারি টেস্ট ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগেরও এই কন্ডিশনে ৩টি টেস্ট শতক রয়েছে। তবে তিনি ইনিংস খেলেছেন ৪৯টি। শ্রীলঙ্কান গ্রেট মারভান আত্তাপাত্তুর শতক ৩টি ২৭ ইনিংসে।
Most Test Hundreds By Asian Openers In SENA Countries Since 2000
Tamim Iqbal 3* ( 19 Innings)
Marvan Attapattu 3 ( 27 Innings)
Virender Sehwag 3 ( 49 Innings)
What A Batting Performance. Literally Bashed Boult And Southee #NZvBAN pic.twitter.com/dJUwcxbaQw
— বাংলার ছেলে 🇧🇩 (@iSoumikSaheb) February 28, 2019
তবে তামিমের টেস্ট অভিষেকের পর থেকে হিসেব করলে এই তালিকায় এককভাবে শীর্ষে থাকবেন তামিম ইকবাল। তামিমের ৩টি টেস্ট শতক আছে ওপেনার হিসেবে এই দেশগুলোতে। বাকি কোন এশিয়ান ওপেনারের ২টি শতকের বেশি নেই। গৌতম গম্ভীর, কে এল রাহুল, মুরালি বিজয়দের মত টেস্ট ওপেনারদের রয়েছে ২টি করে শতক।
এখনো তামিমের ক্যারিয়ারের কমপক্ষে পাচ – ছয় বছর বাকি। যদি ফর্ম ধরে রাখতে পারেন ও নিয়মিত কঠিন কন্ডিশনে টেস্ট খেলার সুযোগ পান তাহলে অবশ্যই নামের পাশে যোগ করতে পারবেন আরো অনেক শতক।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন