শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   শুনুন মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া ইয়াসিরের জীবনের দুঃখের কাহিনী

শুনুন মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া ইয়াসিরের জীবনের দুঃখের কাহিনী

Avatar

রবিবার, জানুয়ারী ২০, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

হুট করে একটি দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনায় ক্যারিয়ার তো বটেই, থমকে যেতে বসেছিল জীবন। কিন্তু ইয়াসির আলী শেষ পর্যন্ত ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। চার মাস মাঠের বাইরে থাকলেও এখন ফিরেছেন মাঠে। এমনকি বিপিএলে দলকে জেতাচ্ছেন ম্যাচ।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ইয়াসির আলীর দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই চলমান বিপিএলের সর্বোচ্চ স্কোর গড়ে ম্যাচ জিতেছে চিটাগং ভাইকিংস। ব্যাট হাতে তাকে দারুণ সমর্থন যুগিয়েছেন খোদ অধিনায়ক মুশফিক। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে ইয়াসির জানান, মাস সাতেক আগে দুর্ঘটনার পর মাঠে ফিরে আসা সহজ ছিল না। ফেরার পথে তাকে সাহস ও শক্তি যুগিয়েছেন তার বাবা-মা।

ইয়াসির বলেন, ‘দুর্ঘটনাটা আমার জীবনের একটা কালো অধ্যায় বলতে পারেন। চার মাস অনেক বড় একটা গ্যাপ হয়ে গিয়েছিল। তখন আমি ভেঙে পড়ি, ভাবি কী হবে আসলে।’

দুর্ঘটনায় পাওয়া চোটের কারণে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সফর হাতছাড়া করেছেন ইয়াসির। তবে আবারও দলে ফেরার আশা ছেড়ে দেননি কখনও। ইয়াসিরের ভাষ্য, ‘’এ’ দলের দুটো সফর ছিল। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশে এসেছিল, আয়ারল্যান্ড সফর ছিল। আমি হাতছাড়া করি। যেহেতু ভালো খেলছিলাম, আশা ছিল আয়ারল্যান্ডে যাবো।’

কীভাবে সেই ঝড় সামলে ফিরে এলেন? ইয়াসির জানান, ‘আমাকে মানসিক শক্তি যুগিয়েছেন আমার বাবা-মা। তারা বলেছেন- কিচ্ছু হয়নি, চার মাসই তো গেছে। সামনে আরও অনেক খেলা আছে। আমি আবার ফিরে এসেছি।’

শনিবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৩ রানেই ওপেনার ক্যামেরন ডেলপোর্টকে হারায় চিটাগং ভাইকিংস। এরপর দলের বিপর্যয় সামাল দেন ইয়াসির। প্রথমে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে এবং এরপর অধিনায়ক ও দলের আইকন ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে দেখে-শুনে খেলতে থাকেন ইয়াসির।

শেষ পর্যন্ত ডেভিড উইজের বলে প্রতিপক্ষ উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেলরের হাতে তালুবন্দি হওয়ার আগে ৩৬ বলের মোকাবেলায় ৫৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে; যে ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন