শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে যাকে চরমভাবে অপমান করলেন মাহমুদুল্লাহ

ম্যাচ হারার কারণ হিসেবে যাকে চরমভাবে অপমান করলেন মাহমুদুল্লাহ

Avatar

বুধবার, জানুয়ারী ৯, ২০১৯

প্রিন্ট করুন

বিপিএলে টানা তৃতীয় হারের পরে ব্যাটসম্যানদেরই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন খুলনা টাইটান্স দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। দলের ব্যাটসম্যানদের অন্তত দুটি বড় জুটি গড়া উচিত ছিল বলে মনে করছেন তিনি।ইনিংসের মাঝপথে ২৪ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট হারায় খুলনা। আর এটাই ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে তাঁদের, বলে মনে করছেন খুলনার অধিনায়ক। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে জানান,

‘আমরা আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগাতে পারিনি ঠিকমতো। উইকেট কঠিন ছিল। স্লো ছিল অনেক। আমরা জুটি গড়তে পারিনি, আর সেখানেই আমরা ম্যাচটি হেরেছি। আমাদের অন্তত দুটি জুটি শুরুতেই গড়া উচিত ছিল।

উইকেট স্লো থাকলেও অন্তত ১৪০-১৫০ রান করা যেতো এমন উইকেটে, মনে করছেন মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু এদিনে খুলনা থেমেছে মাত্র ১১৭ রানে। তবে খুলনার ছুঁড়ে দেওয়া অল্প লক্ষ্য অতিক্রম করতে ১৯ ওভার পর্যন্ত খেলেছে রাজশাহী কিংস। তাই বোলারদের প্রশংসা করেন মাহমুদুল্লাহ।

‘আমরা আরও ভালো খেলতে পারতাম। আমাদের কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া দরকার ছিল। ১৪০-১৫০ রান করার মতো উইকেট ছিল এটি। বোলাররা ঠিকমতোই খেলেছে, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা অবদান রাখতে পারেনি।’

মিরাজের ব্যাটিং নৈপূণ্যে প্রথম জয়ের দেখা রাজশাহী। রাজশাহীর লক্ষ্য খুব বেশি ছিলনা। জিততে হলে ২০ ওভারে করতে হতো ১১৮ রান। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ভালো হল না রাজশাহীর। মাত্র ১১ রানের মাথায় হারিয়েছে ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজকে। মাত্র ৫ বলে ৬ রান করে আউট হন হাফিজ। তাইজুলে বলে ফিরে যান তিনি।

হাফিজ আউট হলেও দলে হাল ধরেছেন মিরাজ-মুমিনুল। তবে ৪৪ রান করে ফিরে মুমিনুল। পল স্টার্লিং বলে ধরা পরে আউট হন তিনি। ৪৩ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪৪ রান করেন তিনি। তবে অর্ধশতকের মাইলফলকে পৌঁছালেন মিরাজ। ৪৩ বলে অর্ধশতক পুরন করেন তিনি।

৪৫ বলে ৫১ রান করে ফেরেন মিরাজ। জহির খানের বলে বোল্ট হন মিরাজ। অর্ধশতক করে দলে জয়ে বন্দের পৌঁছে দিয়ে যান তিনি। এরপর সৌম্যের ১৭ বলে ১১ রান করে দলে জয় এনে দেন। ৭ উইকেটে বিশাল জয় পায় রাজশাহী। ৭ বল বাকি থাকতে জয় পায় তারা।

এর আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় রাজশাহী কিংস ও খুলনা টাইটান্স। আজ বুধবার (৯ই জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হয় বাংলাদেশ সময় বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন খুলনা টাইটান্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সিদ্ধান্তে শুরুটা ভালোই করেছিল খুলনা। তবে দলীয় চতুর্থ ওভারে পঞ্চম বলে মোস্তাফিজের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন খুলনার ওপেনার পল স্টার্লিং। ১৪ বলে ১৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। একটি চার ও একটি ছক্কা হাঁকার তিনি।

এর পর আঘাত আনলেন ইসুরু উদানা ফর্মে থাকা জুনায়েদ সিদ্দিকীকে ফেরত পাঠান তিনি। ১৮ বলে ২৩ রান করে ফেরেন তিনি। জুনায়েদ সিদ্দিকীর পর ক্রিজে আসেন জহুরুল ইসলাম। তিনিও তেমন কিছুই করতে পারেননি। ৬ বলে মাত্র ১ রান করে সানির বলে বিদায় নেন তিনি।

জহিরুল আউট হলে দলে হাল ধরেন অধিনায়ক রিয়াদ। দলকে যখন বিপর্যয় থেকে কাটিয়ে তুলছেন তখনি মোস্তাফিজের বলে এলবি হয়ে ফিরেন তিনি। যদিও রিভিও নিয়েছিলেন রিয়াদ। কিন্তু তাতে কোন কাজ হয়নি। ১৮ বল খেলে ১১ রান করেন রিয়াদ। এরপর আশা জাগিয়ে বিদায় নেন আরিফুল হক। ১৬ বলে ১২ রান করে কায়েস আহমেদের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে আউট হন তিনি।

সবার বিপর্যয়ের দিনে ডেভিড মালান ভালোই করছিলেন। ১৮ বলে ২২ রান করে সৌম্য সরকারে বলে আউট হন তিনি। এর পর ইসুরু উদানা আঘাত। ডেভিড ওয়াইজকে সরাসরি বোল্ট করে ফিরান তিনি। ১৪ বলে ১৪ রান করে ওয়াইজ। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১৭ রান করেছে খুলনা।

খুলনা টাইটান্স একাদশ: পল স্টার্লিং, জহুরুল ইসলাম, জুনায়েদ সিদ্দিক, শুভাশিস রায়, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), ডেভিড ওয়াইজ, আরিফুল হক, তাইজুল ইসলাম, ডেভিড মালান, শরিফুল ইসলাম, জহির খান।

রাজশাহী কিংস একাদশ: সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ হাফিজ, মুমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), জাকির হাসান, লরি ইভান্স, ফজলে মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আরাফাত সানি, কায়েস আহমেদ, ইসুরু উদানা।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন