শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   বিশ্বকাপ খেলার জন্য ১১ জন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় নেই বাংলাদেশের

বিশ্বকাপ খেলার জন্য ১১ জন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় নেই বাংলাদেশের

Avatar

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১৬, ২০১৮

প্রিন্ট করুন

এই মুহূর্তে হয়ত বাংলাদেশ দলে মাশরাফি, সাকিব, তামিম, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহর মত খেলোয়াড় আছেন, যারা লম্বা সময় দলের মেরুদন্ড সোজা রাখার কাজটি করে এসেছেন, এবং সামনে আরও কয়েকবছর করবেন। কিন্তু তাদের বিদায়ের পর সেই শূন্যস্থান পূরণের উপযোগী খেলোয়াড় কি এখনও তৈরী হয়েছে?

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে বাংলাদেশ দলে লিটন দাস, মুস্তাফিজুর রহমান, মোহাম্মদ মিথুন, নাজমুল হোসেন শান্তদের মত একঝাঁক সম্ভাবনাময় খেলোয়াড় রয়েছেন। পাশাপাশি মেহেদী হাসান মিরাজের ভেতর ইতিমধ্যেই অনেকে ভবিষ্যতের কান্ডারীর ছায়া দেখে ফেলেছেন।

কিন্তু তারপরও সাকিব, তামিম, মুশফিকদের মেন্টর নাজমুল আবেদিনের মতে, উল্লিখিত পঞ্চপান্ডবের সাথে বাংলাদেশ দলে এখনও যথেষ্ট সেই মানের খেলোয়াড়ের আবির্ভাব ঘটেনি, যার মাধ্যমে তারা ১১ জন আন্তর্জাতিক মানসম্মন্ন একটি স্কোয়াড গড়ে তুলতে পারবে।

তিনি বলেন, “আমরা হয়ত প্রতিবছর একজন বা দুইজন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় পাব। সেক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে চার থেকে পাঁচজন আন্তর্জাতিক মানের রিপ্লেসমেন্ট পাওয়া সম্ভব। আমরা মিরাজ কিংবা মুস্তাফিজদের মধ্যে সেরকম নমুনা লক্ষ্য করেছি। কিন্তু তারপরও সত্যি কথা হলো, আমাদের দলে এখনও ১১ জন আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় নেই। এর কারণ, বেশিরভাগ তরুণ খেলোয়াড়েরই লক্ষ্য ছিল জাতীয় দলে খেলা, আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড় হয়ে ওঠা নয়।”

Also Read – ইংলিশদের অনুশীলনে হাজির বিষাক্ত সাপ!
আবেদিনের মতে, লিটন, মিথুন ও মুস্তাফিজদের জন্যও সমান গুরুত্বপূর্ণ তাদের নিজেদের খেলায় বিশ্বাস রাখা, যাতে তারা তাদের মেধা ধরে রাখতে পারেন, পাশাপাশি ভবিষ্যতে এই মেধার উত্তরোত্তর উন্নতিও ঘটাতে পারেন।

“সাকিব, তামিম বা অন্যদের বেড়ে ওঠার সময়টা বর্তমান তরুণ খেলোয়াড়দের চেয়ে অনেক ভিন্ন ছিল। এখনকার খেলোয়াড়দের অনেক বড় বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে, যেমন ধরুন এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। আগে তো বিষয়গুলি এমন ছিল না।

“ধরুন সাকিব যদি তিনটি ম্যাচ না খেলে, তারপরও সে যখন ফিরবে তখন সে নিজের জায়গাটি নিয়ে নিতে পারবে কোনো অস্বস্তি ছাড়াই। কিন্তু একই ঘটনা যদি লিটনের ক্ষেত্রে ঘটে, সে তো বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। অন্যদিকে সকলে তার নেতিবাচক বিষয়ে কথা বলতে শুরু করবে। সুতরাং যারা ইতিমধ্যেই পরিণত, তারা জানে কীভাবে চাপ সামলাতে হয়। কিন্তু আমাদের পরিবেশই অন্যদেরকে পরিণত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না।”

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন