আসন্ন জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি হোম সিরিজে থাকছে না বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তাই কে হবে এই দুই সিরিজে বাংলাদেশের দলনেতা তা নিয়ে চলছে তর্ক-বিতর্ক। গুঞ্জন উঠছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই হতে পারে পরবর্তী অধিনায়ক।ইঞ্জুরির অবস্থা ব্যাখ্যা মাহমুদউল্লাহ’র
সম্প্রতি শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সাকিব আল হাসানের চোট পাওয়ায় অধিনায়কত্বের ভার পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। সেটাকে মাথায় রেখেই অধিনায়ক হিসেবে বিবেচনার ক্ষেত্রে তাকে এগিয়ে রাখছে বিসিবি।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ জানান অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশ দলের গুরুভার নিজের কাধে নিতে প্রস্তুত তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “অধিনায়কত্ব সব সময়ই পছন্দ করি। কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। খুবই সম্মানের কাজ। এই চ্যালেঞ্জ নিতে উন্মুখ থাকি। যদি এ ধরনের সুযোগ আসে, আমি তৈরি। ”
দলের পঞ্চপান্ডব খ্যাত পাঁচ ক্রিকেটারই রয়েছেন ইনজুরির কবলে। তামিমের কব্জি ভাঙা, সাকিব মাশরাফি’র আঙুলের চোট, মুশফিকের পাজরের ব্যাথা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে মাহমুদউল্লাহ’র পিঠে চোট পাওয়া নিয়ে রীতিমত চিন্তায় পড়েছে বিসিবি।
গুরুতর ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন ধরেই মাঠের বাইরে থাকতে হবে তামিম, সাকিবকে। অনিশ্চয়তায় মুশফিকের ফেরা নিয়েও। আর গতবছর ৪ এপ্রিল টি-টোয়েন্টি’র জগৎ থেকে বিদায় নেন ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলের এমন অবস্থায় এখন মাহমুদউল্লাহ’ই হয়ে দাড়িয়েছেন আশা ভরসার কেন্দ্রবিন্দু।
তাই চোট নিয়ে খুব একটা মাথাব্যথা করছেন না দলের এ সাইলেন্ট কিলার। এবিষয়ে তিনি বলেন, “চোট থাকবে। এগুলো নিয়ে খেলতে হবে। খেলতে খেলতে হয়তো অবস্থা শোচনীয় হয়েছে। ব্যথাটা পাঁজরের দিকেও এসেছে। এই মুহূর্তে কিছুটা ভালো আছি। কিছুদিনের বিশ্রামে আছি। আশা করি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ফিরতে পারব। ”
এছাড়া পার্শ্বনায়ক থেকে নায়কের পথযাত্রা’র অনুভূতি কেমন, দর্শকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ সব তকমা নিয়ে চিন্তা করি না। শুধু কাজটাকে ভালোবাসি। পার্শ্বনায়ক থেকে নায়ক, এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি না। ”
অন্যদিকে বারংবার ফাইনাল হারের কারণ হিসেবে মানসিক বাধাকে দায়ী করলেন মাহমুদউল্লাহ। গত তিন বছরে ভারতের বিপক্ষে একাধিকবারে ফাইনালে গিয়ে হারের বিষয়ে তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের কাছে অনেক ম্যাচ হেরে গেছি। ক্রিকেটে কখনো হারবেন, কখনো জিতবেন। আমরা সব সময় চেষ্টা করি।
মেন্টাল ব্লক থাকতে পারে, ঠিক নিশ্চিত না। তবে চেষ্টা করছি ভুলটা কোথায় হচ্ছে। এতটুকুই চিন্তা করতে পারি, আরও কিছু খেলোয়াড় আছে যারা ভালোভাবে শেষ করতে পারে। দল হিসেবে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ”
সেইসাথে আগামী বিশ্বকাপ নিয়ে আশার কথা ও শোনাচ্ছেন তিনি। বলেন, “আমাদের শতভাগ আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা বিশ্বাস করি যে আমরা জিততে পারি (বিশ্বকাপ)। ভালোভাবেই বিশ্বাস করি। তবে এটাও বলতে হবে, আমরা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারি না।
বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপের মতো বড় টুর্নামেন্টে আপনি কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেন না। আপনাকে ধাপে ধাপে এগোতে হবে, ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে হবে। ক্রিকেটে আপনি প্রতিদিন শিখতে পারেন। সেটা হতে পারে আপনার ভুল থেকে, সেটা হতে পারে আপনার পারফরম্যান্স থেকে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন