স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ নারী দল। বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে অসাধারণ পারফর্ম করে জিতে নিয়েছে শিরোপাও। বোলিং ডিপার্টমেন্টের অসাধারণ পারফরম্যান্স ছিল পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই যার প্রতিচ্ছবি সেরা ছয় বোলারের চারজনই বাংলাদেশের।
পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই খেলেছেন বাংলাদেশের এই চার বোলার। সবাই-ই বল করেছেন অন্তত ১৪ ওভার করে। চার ম্যাচে এগারো উইকেট নিয়ে আইরিশ মিডিয়াম পেস বোলার লাকি ও’রেলি আছেন সাবার উপরে।তারপরের তিন জায়গা দখল করে আছেন বাংলাদেশ নারী দলের তিন বোলার। দশ উইকেট নিয়ে রুমানা আহমেদ আছেন দুই নম্বরে। নয় উইকেট নিয়ে তিন ও চার নম্বরে আছেন যথাক্রমে ফাহিমা খাতুন ও পান্না ঘোষ।
স্কটিশ র্যাচের স্কোলস আছেন সেরা পাঁচে। তাঁর ঝুলিতে আট উইকেট। সাত উইকেট নিয়ে তাঁর পরেই আছেন আরেক বাংলাদেশি নাহিদা আকতার। ইকোনমির দিক দিয়ে এগিয়ে বাংলাদেশের বোলাররাই। সকলেই খরচ করেছেন চার রানেরও কম। ওভারপ্রতি মাত্র তিন রান খরচ করেছেন রুমানা আহমেদ। অন্যদিকে বাকিদের ক্ষেত্রে তা ৩.৫০ এর কিছু বেশি।
পান্না ঘোষ একবার নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। অন্যদিকে ফাহিমা খাতুন একবার নিয়েছেন চার উইকেট। মূলত বাংলাদেশের বোলিং শক্তিই এশিয়া কাপের পর আইসিসি নারী ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির বাছাই পর্বের শিরোপা জেতাতে সাহায্য করেছে। নভেম্বরে উইন্ডিজে বসবে বিশ্বকাপের আসর। সেখানে এই পারফরম্যান্স ধরে রাখলে ভালো কিছুই প্রত্যাশা করবে টাইগ্রেস ফ্যানরা।
বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারে এক ম্যাচেও হারেনি বাংলাদেশ দল। গ্রুপ পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাপুয়া নিউগিনি ও নেদারল্যান্ডসকে সহজেই হারিয়েছে তারা। সেমি ফাইনালে স্কটিশদের হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটে টাইগ্রেসরা। এবং ফাইনালে স্বাগতিক আইরিশ মেয়েদের হারিয়ে রাজার বেশে বিশ্বকাপে পা রাখে বাঘিনীরা।
এক নজরে সেরা ছয়:
লাকি ও’রেলি – চার ম্যাচ – এগারো উইকেট,রুমানা আহমেদ- পাঁচ ম্যাচ – দশ উইকেট,ফাহিমা খাতুন – পাঁচ ম্যাচ – নয় উইকেট,পান্না ঘোষ – পাঁচ ম্যাচ – নয় উইকেট,র্যাচেল স্কোলস – পাঁচ ম্যাচ – আট উইকেট,নাহিদা আকতার – পাঁচ ম্যাচ – সাত উইকেট
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন