সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্ধু হেফাজত ইসলামের নেতা মামুনুল হক।সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে আলোচনায় আসেন হেফাজত ইসলামের এই নেতা। মোদীর বাংলাদেশ আগমন উপলক্ষে হেফাজত ইসলামের করা আন্দোলনে মূখ্য ভূমিকা পালন করেন মামুনুল হক।
মোদী বিরোধী আন্দোলন শেষ হতে না হতেই আরেক বিতর্কে জরিয়েছেন মামুনুল হক।জানা গেছে দ্বিতীয় স্ত্রী সহ আজকে আটকে পুলিশের হেফাজতে গিয়েছিলেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে একটি রিসোর্টে অবরুদ্ধ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক মুক্ত হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুক্ত হয়ে তিনি বলেন, আপনাদের ভালোবাসার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। সাংবাদিক ও পুলিশ আমার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করেনি। কিছু বাইরের লোক খারাপ আচরণ করেছে। আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম।
মামুনুল হকের দাবি, সঙ্গে থাকা নারীর নাম আমিনা তৈয়ব। তিনি মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আমিনাকে সঙ্গে নিয়ে রিসোর্টে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি।নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোশাররফ হোসেন বলেন, স্থানীয় লোকজন রিসোর্টে মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে পুলিশে খবর দেয়।
এদিকে, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে একটি রিসোর্টে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। খবর ছড়িয়েছে, সেখানে তিনি এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে ‘আটক’ হয়েছেন।
যদিও ওই নারীকে নিজের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন মামুনুল হক। তবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জায়েদুল আলম বলেন, হেফাজত নেতা মামুনুল হককে আটক কিংবা গ্রেফতার কোনোটিই করা হয়নি। স্থানীয়রা তাকে ঘিরে ফেলায় পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিয়ে রেখেছে।সর্বশেষ খবর অনুযায়ী হেফাজত অনুসারিরা রাস্তায় মাওলানা মামুনুল হককে নিয়ে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে রাস্তা প্রদক্ষিন করে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন