মৃ’ত্যুর আগে শেষ যে কথা বলে গিয়েছিলেন অষ্টম শ্রেণীএ সেই কিশোরী

টাঙ্গাইলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী নুর নাহার বিবাহের ৩৪ দিনের মাথাতেই মা’রা গেলেন। মা’রা যাওয়ার ঠিক আগেই তিনি তার নানাকে বলেছিলেন নানা ও জা’নো’য়া’র মানুষ না, অনেক হাতে-পায়ে ধ’রে’ছি’লা’ম, তাও ও ছাড়ে নি। য’ন্ত্র’ণা’য় কু’কা’চ্ছি, র’ক্ত পড়’ছে, দম ব’ন্ধ ও হয়ে এসেছিল, তাও আমাকে ছা’ড়েনি। এর উত্তরে স্বামী রাজিব বলেছিল প্রথম দিকে এর’ক’ম স’ম’স্যা হয় এরপর আ’স্তে আ’স্তে এগুলো সয়ে যাবে। এইসব কথা বলতে বলতে মৃ’ত্যু হয় নুর নাহারের, এমনটাই জানিয়েছেন তার নানা লাল খান। এই ক’থা’গু’লি জানাতে জানাতে অ’জ্ঞা’ন হয়ে যান লাল খান।

মৃ’ত্যু’র পথে পাড়ি দেওয়া নুর নাহারের নানা লাল খান আরও জানান, ”আমার মেয়ের জামাইর অ’ভা’বে’র কারণে নুর নাহারকে ছোটবেলাতেই আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। দিনমজুরি করেই তাকে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। ছেলে প্রবাসী ও ধ’নী হওয়ায় আমরা নুর নাহারকে বি’য়ে দেই। বি’য়ে’র কয়েকদিন পর থেকে তার র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ শুরু হয়।”

এই সমস্যা হওয়ার পর নুরের শাশুড়ি তাকে গ্রাম্য ক’বি’রা’জে’র কাছে নিয়ে যান এবং তার কথামতো ও’ষু’ধ খাওয়ান। পরবর্তীতে র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ বেশি হলে তাকে হা’স’পা’তা’লে ভ’র্তি করা হয়। হা’স’পা’তা’লে’র ডা’ক্তা’ররা বলেন, অ’প্রা’প্ত বয়সে বি’য়ে’র জন্যই নুর নাহারের যৌ’না’ঙ্গ দিয়ে র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ হ’চ্ছি’ল। উল্লেখ্য স্বামীর জ’ন্যই তার এই অ’স্বা’ভা’বি’ক মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকেই।

নুর নাহারের মৃ’ত্যু’র পর তার স্বামী তার মৃ’ত’দে’হ দেখতে পর্যন্ত আ’সেননি। স্বামী রাজিব জানান, বি’য়ে’র পর তাদের মধ্যে পাঁচ ছয়বার সম্পর্ক স্থাপন হয়। নুর বলেছিল তার ব্যা’থা লাগে র’ক্ত’ক্ষ’র’ণ হয়। এরপর রাজিব দুই পক্ষের পরিবারকেই বিষয়টি জানান। পরিবারের অভিভাবকরা চি’কি’ৎ’সা’র ব্য’ব’স্থা করেন।

নুরের শাশুড়ি বিলকিস বেগম বলেন, আমি মনে করছি ভূ’ত প্রে’তে’র ব্যাপা”র, তাই ক’বি’রা’জ ডেকে তা’বি’জ ও পরিয়েছিলাম। তাতেও প’রি’স্থি’তি স্বা’ভা’বি’ক না হওয়ায় টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এরপর হাসপাতালেই মৃ’ত্যু হয় নুরের। উপজেলা অধিকর্তা জানান, নাবালিকা অবস্থায় বি’বা’হ হওয়ার জন্য নুরের এই পরিনতি হল। সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এর প্র’তি’বা’দ করে বা’ল্য’বি’বা’হকে ব’ন্ধ করতে হবে।