মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটিসহ দেশব্যাপী গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে গত ২৬ মার্চ থেকে। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সাধারণ ছুটিসহ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ চার দফায় আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী মঙ্গলবার। এখও পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের নতুন কোন নির্দেশনা আসছে না। সেই হিসেবে বুধবার থেকে গণপরিবহন চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গেছে, আগামী ৫ মে’র পর থেকে রেল যোগাযোগ চালুর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে গত ২৬ মার্চ রেল চলাচল বন্ধ করা হয়। আস্তে আস্তে দেশে চলমান অঘোষিত লকডাউন শিথিল করার পথে হাঁটছে সরকার।
ইতোমধ্যেই পোশাক কারখানা চালুও করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গণপরিবহন ও দূরপাল্লার বাসও চালু করা হবে। দু–এক দিনের মধ্যেই লাগেজ ভ্যান চালু হতে পারে। এরপর সীমিতভাবে চালু করা হতে পারে আন্তঃনগর ট্রেন।
সূত্র জানায়, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত পেলেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে আগামী ৫ মে’র পর সরকার অঘোষিত লকডাউন তুলে নিলে রেল চলাচল শুরু করার বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
এরই অংশ হিসেবে সোমবার (২৭ এপ্রিল) রেলের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে রেল ভবনে একটি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে দুই দিনের মধ্যেই যাতে ট্রেন চালু করা যায়, সেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
এদিকে, অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সীমিত আকারে পোশাক কারখানা খোলা হয়েছে। আগামী ২ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সব কারখানা চালু করা হবে। তবে শ্রমিকদের এখনই গ্রাম থেকে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
চাকরি বাঁচাতে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন শ্রমজীবী মানুষরা। সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ঢল দেখা গেছে।
সূত্রঃ গোনিউজ
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন