ক্রাইস্টচার্চের আল নূর মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে। ঐ হামলার সময় মসজিদের খুব কাছাকাছিই ছিলেন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। এমনকি তারা ঐ মসজিদের দিকেই যাচ্ছিলেন।
জুমার নামাজ আদায় করতে মসজিদের কাছে বাস পার্ক করে ক্রিকেটাররা মসজিদ অভিমুখে হাঁটছিলেন।এ সময় হামলার ব্যাপার আঁচ করতে পেরে তারা দ্রুত বাসে ফিরে আসেন। এ সময় বাস পেছনের দিকে নিয়ে সংশয়মুক্ত হওয়ার জন্য বাসের চালককে অনুরোধ করলেও ‘সেই নির্দেশনা নেই’ এমন দাবিতে তা করা হয়নি।
এমনটি জানিয়ে ক্রিকেট বিষয়ক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে মুমিনুল বলেন, ‘ঐ দুঃসময়ের মাঝামাঝি সময়ে আমরা ড্রাইভারকে বলি বাস পেছনের দিকে নিয়ে আসার জন্য কিন্তু সে রাজি ছিল না এই জানিয়ে- এটি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়নি।
দ্বিতীয় বা তৃতীয় সারিতে মুশফিক ভাইর সাথে বসে ছিলাম আমি। আমরা বাস থেকে দেখছিলাম- সবাই মসজিদ থেকে বের হয়ে আসছে এবং মেঝেতে শুয়ে পড়ছে। তাদের পুরো শরীর রক্তে ভরা। আগেরবার যখন ক্রাইস্টচার্চে আসি আমরা এই মসজিদের নামাজ পড়েছিলাম।’
বাস থেকেই মুমিনুলরা দেখতে পাচ্ছিলেন সন্ত্রাসীর নৃশংসতা। তিনি বলেন, ‘৫-১০ মিনিট আমরা বাসের ভেতরেই বসা ছিলাম।এ সময় পাইলট ভাই কারও সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। তামিম ভাই পেছন থেকে আসে এবং আমরা ড্রাইভারকে জানালা খুলে দিতে বলি। আমরা দেখলাম অনেকগুলো দেহ এদিক-ওদিক পড়ে আছে।’
এমন অবস্থায় হেঁটে হেঁটেই হোটেলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ক্রিকেটাররা। মুমিনুলের ভাষ্য, ‘আমরা বাসের পেছনের দরজা খুলে পার্কের ভেতর দিয়ে হেঁটে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেই।’‘৫ মিনিট আগে এলেই আমরা মসজিদের ভেতরে থাকতাম এবং মসজিদের ভেতরে কেউই বেঁচে থাকতো না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ যে আমরা পাঁচ মিনিট পরে সেখানে পৌঁছেছিলাম।’ বলেন মুমিনুল।
ঘটনার ভয়াবহতায় ক্রিকেটাররা কান্নাও করছিলেন বাসের ভেতরে। মুমিনুল জানান, ‘মসজিদে পৌঁছালে আমরা পেছনের সারিতে থাকতাম এবং সন্ত্রাসীটি আমাদের কাউকেই বাঁচিয়ে রাখত না।ভিডিও দেখলে দেখবেন, সে কারও দিকেই তাকাচ্ছিল না, নির্বিচারে গুলি করেছে। আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম এবং বাসের ভেতর কান্না করছিলাম।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন