নিজের ব্যাটিং অর্ডার কোনটা তা মনেহয় নিজেও জানেন না বাংলাদেশ জাতীয় দলের অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দল চাপে পড়লে ম্যাচের যেকোনো মুহূর্তে ব্যাট-প্যাড নিয়ে নেমে যেতে হয় বাইশ গজে।
পুরো ক্যারিয়ার জুড়ে ‘চাপ‘ কেই করেছেন সঙ্গী। ঠান্ডা মাথার সাথে শক্ত চোয়ালে দাঁতে দাঁত চেপে করে গেছেন লড়াই। আফগানিস্তানের সাথে ম্যাচেও সেটিরই যেন আরেকবার পুনরাবৃত্তি করলেন টাইগার এই অলরাউন্ডার।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বা শেষ ইনিংসে, দলের প্রয়োজনে সবসময়ই রিয়াদ চাপটা বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছেন নিজ কাঁধে। কিছুদিন আগে নিদাহাস ট্রফিতে রান তাড়া করতে নেমে স্বাগতিক লঙ্কানদের সাথে ম্যাচ জেতানো সেই ছক্কাটা ক্রিকেট প্রেমীদের এখনই ভুলে যাবার কথা না।
চোখ ধাঁধানো সেই শটে উৎসবের মাতমে ভাসিয়েছিলেন গোটা জাতিকে। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাত। আফগানিস্তানের সাথে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নামলেও মাহমুদউল্লহার কীর্তিটা এখানেও নেহাত কম না।
রোববার আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানেই ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপর্যন্ত বাংলাদেশ দল। সেসময় দলের ‘ত্রাতা’ হয়ে উইকেটে আসলেন মাহমুদউল্লাহ। উইকেটে সঙ্গী তখন ইমরুল কায়েস, যিনি ছয় নম্বরে ব্যাট করছিলেন প্রথমবার। সেই ইমরুলকে নিয়েই গড়লেন দুর্দান্ত জুটি। সেই জুটিতে অগ্রণী ছিলেন মাহমুদউল্লাহই। ইমরুল আগলে ছিলেন একটা পাশ।
মাহমুদউল্লাহর ব্যাট সচল ছিল সেই বিপর্যেয়ও। ঝুঁকি না নিয়েই বাড়িয়েছেন রান। সময়ের সঙ্গে বেড়েছে গতি। রশিদ খানের বলেও দুই দু’বার বল আছড়ে ফেলেছেন সীমানার ওপারে। ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের জয়ের ভিত। মাহমুদউল্লাহ করেছেন ৮১ বলে ৭৪। এজন্যই দলে তার পরিচয় ‘ক্রাইসিস ম্যান’ হিসেবে।
কিভাবে সম্ভব হয় প্রতিনিয়ত চাপকে জয় করা? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলেন, ‘মনে হয় আমি চাপ উপভোগ করি। চাপ হয়তো আমাকে ছন্দ পাওয়াই, নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ করে দেয়। দলকে ফিরিয়ে দেওয়ার তাড়নাও থাকে। চাপ সবসময়ই থাকে, সেটাকে সামলে নেওয়ার পথ বের করে নিতে হয়।’
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন