শিরোনাম

প্রচ্ছদ /   শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য যে পরামর্শ দিলেন তাবিথ আউয়াল

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য যে পরামর্শ দিলেন তাবিথ আউয়াল

Avatar

সোমবার, আগষ্ট ২৩, ২০২১

প্রিন্ট করুন

দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে গত দেড় বছর ধরে। বেশ কয়েক দফা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার গুঞ্জন উঠলেও শেষ পর্যন্ত তালাবদ্ধই থেকেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। কবে নাগাদ পুনরায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে পারবে সে ব্যাপারেও কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা নেই এখন পর্যন্ত।

দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার এহেন পরিস্থিতিতে দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের গত নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচন করা তাবিথ আউয়াল। তিনি মনে করেন শুধুমাত্র কোভিডের অজুহাতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা অযৌক্তিক।

তাবিথ আউয়াল তার সত্যায়িত ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি স্ট্যাটাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পরান্মর্শ দিয়ে বলন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো দ্রুত খুলে দিতে সরকার ও বেসরকারি শিক্ষক এবং এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে টিকা দিতে হবে। এক্ষেত্রে বয়সের কোনো আওতা রাখা যাবে না। সরকারের তালিকার বাইরেও অনেক বেরসকারি এনজিও-ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে স্কুল পরিচালনা করে তাদের টিকার আওতায় আনতে হবে

শিশুদের সংক্রমণের হার কম থাকায় ৫০ শতাংশের কম শিক্ষার্থীকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সপ্তাহে ৩ দিন ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। সব প্রতিষ্ঠানে মাস্ক, স্যানিটাইজার ও শরীরের তাপমাত্রা মাপার মেশিন থাকার বিষয়টি সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সপ্তাহে অন্তত একদিন অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

এর ফলে কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসা করানো যাবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর শিক্ষার্থীদের মানসিক বিষণ্নতায় ভুগছে, পড়ালেখায় অনেক পিছিয়ে পড়েছে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে শিক্ষকদের দ্রুত প্রশিক্ষণ দিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোনো বিকল্প নেই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনন্তকাল বন্ধ থাকতে পারে না। আমাদের সন্তানদের আমরা ক্লাসে ফিরিয়ে দিতে চাই। কারণ, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তারাই আগামীর ভবিষ্যৎ। তাদের প্রস্তুত করতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কোনো বিকল্প নেই।

টানা ১৭ মাস বন্ধ থাকার পরও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আগ্রহী নয় সরকার। এ জন্য সংক্রমণের উচ্চহারকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন তারা। অথচ গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি জন্য সংক্রমণ ছিল নিয়ন্ত্রণে। তখনও পাবলিক পরীক্ষা নেওয়া কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। কিন্তু ওই সময় অফিস-আদালত, শপিংমলসহ সকল প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। চলেছে গণপরিবহনও।

শিক্ষার্থীদের ঝরে পরার কথা জানিয়ে তাবিথ আউয়াল আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশে এতো দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রয়েছে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম। এতে আমাদের শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর তীব্র নেতিবাচক আঘাত পড়ছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। গ্রামাঞ্চলে বাল্য বিবাহ বেড়ে গেছে।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন