২০২১ শিক্ষাবর্ষের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার নতুন পদ্ধতির কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি। কোভিড পরিস্থিতির কারনেই মূলত বিকল্প উপায় গ্রহণ করতে হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
গত দেড় বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর আগে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে অটোপাস দেয়া হয়েছিল শিক্ষার্থীদেরকে। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে বেশ কয়েকদিন আগেই। চলমান কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বরের মাঝামাঝি এসএসসি এবং ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দিপু মনি।
বিকল্প পদ্ধতিতে নেয়া হবে এই দুটি পরীক্ষা এমন কথা জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রেই গ্রুপভিত্তিক তিনটি নৈর্ব্যচনিক বিষয়ে ছয়টি সংক্ষিপ্ত পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাইয়ের সুযোগ বাড়ছে। আগের পরীক্ষাগুলোতে ১০টি প্রশ্নের মধ্যে ৭ থেকে ৮টির উত্তর করতে হলেও এবার করতে হবে চারটি।
এদিকে শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে এবার যেহেতু নৈর্ব্যচনিক বিষয়ের পরীক্ষা হবে, তাই কেন্দ্রসংখ্যা বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রতি বেঞ্চে একজন করে শিক্ষার্থী বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আবশ্যিক বিষয় থাকলে যে কেন্দ্রে ৫০০ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়া হতো, আবশ্যিক বিষয় না থাকায় সেই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হবে ১০০ জন। ফলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিতে কোনো সমস্যা হবে না।
যদি কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বচনিক বিষয় পদার্থ, রসায়ন ও উচ্চতর গণিত থাকে, তাহলে তাকে এই তিন বিষয়ের ছয়টি পত্রে পরীক্ষা দিতে হবে। তিন ঘণ্টার পরীক্ষা হবে দেড় ঘণ্টায়। রচনামূলক অংশে নম্বর থাকবে ৩৫ ও এমসিকিউ (মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন) থাকবে ১৫ নম্বরের। তবে প্রশ্নপত্র এখন যেভাবে হয়, সেভাবেই হবে। ফলে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন বাছাই করার ক্ষেত্রে বেশি সুযোগ থাকবে।
উল্লেখ্য, এর আগের নিয়ম অনুযায়ী ১০টি প্রশ্ন থেকে ৮টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হতো শিক্ষার্থীদেরকে। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১০টি প্রশ্ন থেকে ৪টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। যেখানে ১০০ নম্বরের বদলে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। পরবর্তিতে এই ৫০ নম্বরকেই ১০০ নম্বরে রূপান্তর করা হবে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন