চলমান কোভিড পরিস্থিতিতে থমকে আছে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থা। দীর্ঘ দেড় বছরে বেশ কয়েকবার লকডাউন দেয়া কিংবা তুলে নেয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনীহা দেখা গেছে সবসময়ই। এতে করে শিক্ষার যে ক্ষতি সাধন হয়েছে সেটা পুষিয়ে নিতে হলে এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে গত লকডাউনের আগে সশরীরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হলেও গত ১ জুলাই কঠোর লকডাউন দেয়ার পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। তবে এই লকডাউন উঠে গেছে গত ১১ আগস্ট। ১৯ আগস্ট থেকে পুরোদমে সবকিছু স্বাভাবিকভাবে চলবে এমন ঘোষণাও দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সশরীকে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
এই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ইউজিসি জানিয়েছে সশরীরে পরীক্ষা নিতে কোনো বাধা নেই। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অনলাইন কিংবা অফলাইন দুইভাবেই পরীক্ষা নিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।
এ ব্যাপারে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে পরীক্ষা নেবে সে ক্ষমতা তাদের আছে। একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা তা করতে পারে। তবে একেকজন যাতে একেকভাবে সিদ্ধান্ত না নেয়, সে জন্য আমরা উপাচার্যদের সঙ্গে বসে একটি সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই আলোকে এখন সশরীরে বা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পরীক্ষা শুরু করতে কোনো বাধা নেই। যেকোনো কোর্সের পাঠদান শেষে একটি অ্যাসেসমেন্ট না করলে পরবর্তী পড়ালেখায় গতি আসে না।’
উল্লেখ্য, গত বেশ কিছুদিন আগে থেকেই দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো। তবে শিক্ষার্থীদের নানা রকম সংকটের কথা চিন্তা করে শেষ পর্যন্ত সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের জটিলতা। ফলে ব্যাপকভাবে শিক্ষার ক্ষতি হওয়া থেকে মুক্তি পেতে সশরীরেই পরীক্ষা দেয়ার পক্ষে কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন