দেশের ক্রিকেটারদের জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে বিজ্ঞাপন তৈরি করেন ক্রিকেটারদের দিয়ে। এতে করে কোম্পানির প্রচারনা বৃদ্ধি পেলেও নানা সময় বিপাকে পড়তে হয় ক্রিকেটারদের। সম্প্রতি এমনই ঘটনা ঘটেছে দেশের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘ই অরেঞ্জ’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে।
টাইগারদের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ‘ই অরেঞ্জ’ নামক ই কমার্স প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে যুক্ত হবার পর কোম্পানিটির প্রতি সাধারণ গ্রাহকদের আস্থা তৈরি হয়েছিল। তবে সময়মত পণ্য ডেলিভারি না দেয়া সহ নানা অভিযোগে সোমবার (১৬ আগস্ট) শতাধিক গ্রাহক রাজধানী ঢাকার গুলশান -১ এর সড়ক অবরোধ করেন। সড়ক অবরোধ শেষে তারা মাশরাফি বিন মুর্তজার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
একজন ভুক্তভোগী গ্রাহক বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাশরাফির সংশ্লিষ্ট রয়েছে। তার সঙ্গে আমাদের ফোনে কথা হয়েছে। তিনি আমাদের বলেছেন তার বাসায় যেতে। সেখানে আমাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে তার সঙ্গে কথা হবে।
এসময় একটি ভাউচার কিনে তা না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়ে ওই গ্রাহক আরও বলেন, সুপারশপ স্বপ্ন থেকে ডাবল ভাউচারের জন্য টাকা পরিশোধ করেছিলাম ই-অরেঞ্জে। তারা বলেছিল, ১০ হাজার টাকার ভাউচার কিনলে দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকার ভাউচার পাওয়া যাবে।
এদিকে ভিন্ন আরেকজন গ্রাহক জানিয়েছেন দীর্ঘ সময় আগে টাকা পরিশোধ করা হলেও ‘ই অরেঞ্জ’ কোনো পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছে না। ভুক্তভোগী ওই গ্রাহক বলেন, আমরা ই-অরেঞ্জ নামের ই-কমার্স সাইট থেকে বাইক, মোবাইলসহ নামি-দামি পণ্য অর্ডার করেছিলাম। সরকারের ই-কমার্স নীতিমালা প্রকাশের আগে ই-অরেঞ্জের ডাবল টাকা ভাউচার কিনেছিলাম।
কর্তৃপক্ষ গত ১৬ মে (সম্ভাব্য তারিখ) থেকে সব ডেলিভারি বন্ধ রেখেছে। ১৮ জুলাই ই-অরেঞ্জ একটি ডেলিভারি ডেট প্রকাশ করে এবং পরবর্তীতে লকডাউনের দোহাই দিয়ে ডেলিভারি বন্ধ করে দেয়। পরে জানায় লকডাউন শেষ হলে ডেলিভারি কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে। লকডাউন শেষ হওয়ার আগের দিন ১০ আগস্ট তারা আবার নতুন করে ১৬ আগস্ট ডেলিভারির তারিখ প্রকাশ করে।
গুলশান থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, ৪০ জন গ্রাহক মোটরসাইকেল নিয়ে গুলশান-২ মোড়ে আসেন। পরে তারা সেখান থেকে গুলশান-১ এর দিকে চলে যান।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন