গত ঈদুল আজহার আগে থেকেই দেশে চলছিলো সর্বাত্মক লকডাউন। যেখানে জপ্রুরি সেবা ছাড়া বন্ধ ছিল গার্মেন্টস থেকে শুরু করে সবকিছুই। তবে ঈদের আগে সাময়িক সময়ের জন্য সর্বাত্মক লকডাউন শিথিল করলেও পরবর্তিতে ২৩ জুলাই থেকে আবারও তা আরোপ করা হয়েছিল। দুই দফায় মেয়াদ বাড়ানো হলেও বেশ আগে থেকেই খুলে দেয়া হয় দেশের শিল্প কারখানা। এরপর অবশ্য সেই বিধিনিষেধ আর বাড়ানো হয়নি।
সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল (১১ আগস্ট) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন কিংবা কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হয়। যেখানে চালু করা হয় দোকানপাট, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান কিংবা লঞ্চ, ট্রেন সহ অন্যান্য গণপরিবহন। যদিও সড়কে চলা গণপরিবহন অর্ধেক চলার জন্য শর্ত আরোপ করা হয়েছিল প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। একই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিলো বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকার কথাও।
এদিকে লকডাউন শিথিল হবার একদিন পার হতেই নতুন করে আবারও লকডাউন সম্পর্কে ঘোষণা দিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রকাশিত ওই প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে দেশে আর কোনো বিধিনিষেধ থাকছে না। শতভাগ গণপরিবহন চলা সহ সবকিছুই চলবে আগের মত স্বাভাবিক অবস্থায়। এক্ষেত্রে অবশ্য একটি শর্ত রয়েছে। যেখানে পর্যটনকেন্দ্র-রিসোর্ট কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যা শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে। শুধু তাই নয়, এসব ক্ষেত্রে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধিও।
নতুন করে দেয়া প্রজ্ঞাপনে সবকিছু সম্পর্কে জানানো হলেও দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। দীর্ঘ প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও তা আর খোলা হচ্ছে না। নানা সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্পর্কে গুঞ্জন চললেও তা আর সত্যি হয়নি। কবে নাগাদ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে সে ব্যাপারেও সার্বিকভাবে কোনো সঠিক নির্দেশনা এখন পর্যন্ত দিতে পারছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন