সাম্প্রতিক সময়ে গোটা দেশজুড়েই চলছে নানা ধরনের অসামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা বিনোদন জগতের মডেল ও অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধে অভিযান। একের পর এক তারকাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হচ্ছে নানা ধরনের অবৈধ মাদক সহ নানা ধরনের নিষিদ্ধ জিনিসপত্র।
সর্বশেষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আটক হয়েছেন ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি। এর আগে পিয়াসা ও মৌ নামেও দুইজন মডেলকে অভিযানের মাধ্যমে গ্রে-ফ-তা-র করা হয়েছিলো।
যারা গ্রে-ফ-তা-র হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ করা হচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বিপুল পরিমানে মা – দ – ক সেমন ও প- র্নো গ্রা- ফি- র সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ। যারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছেন তাদের বাইরেও বেশ কয়েকজন মডেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে পর্নোগ্রাফি তৈরির, এমন খবর প্রকাশ করেছে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর। যেখানে নতুন করে আলোচিত নাম নায়লা নাইম।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসা নামগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র নায়লা নাইমই নয়, তিনি ছাড়া আরও রয়েছেন জনৈক শুভা, মানসি, পার্শা, মৌরি ও আঁচল। অন্যদিকে র্যাবের নজরদারিতে রয়েছে ক্যাসিনো সম্রাটদের সহযোগী চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা। আলোচিত এইসব মডেলদের নাম উঠে এসেছে র্যাবের অনুসন্ধানে।
র্যাবের পক্ষ থেকে এসব মডেলদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা জানিয়ে আরও বলা হয়েছে, প- র্নো- চ- ক্রে নাম আছে জনৈক মৃদুলা, অহনা ও নায়লা নাঈম নামের কথিত মডেলের। এরা সবাই র্যাবের নজরদারিতে আছেন। গ্রে-ফ-তা-র হতে পারেন যে কোনো সময়। তবে শুধু নায়িকা বা মডেল নন। বেশ কয়েকজন চিত্রনায়ক মা – দ- ক এবং অবৈধ প- র্নোগ্রা- ফি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এদের মধ্যে অন্যতম হাসান নামের জনৈক চিত্রনায়ক। তিনি ১০ বছরের বেশি সময় ধরে সিনেমা জগতের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন থাকলেও বিলাসহুল জীবনযাপন করছেন। তার অবৈধ আয়ের মূল উৎস প- র্নো গ্রা- ফি।
সূত্রের খবর, রেদোয়ান বিন ইসাহাক নামের এক পীরের ছেলে জড়িত আছে বন্ধ হয়ে যাওয়া এমএলএম কোম্পানি ইউনিপে টু ইউর এর সাথে। এমএলএম কোম্পানীটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে তারা প্রথমে গা ঢাকা দিলেও পরবর্তিতে সিনেমায় টাকা বিনিয়োগ করেন হাসান ও ইসহাক। মদ্যপ অবস্থায় এফডিসিতে তাদের চলাফেরা করার খবরও জানানো হয়েছে ওই প্রতিবেদনটিতে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন