ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের চতুর্দশ আসরে অংশ নিয়েছেন দুইজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার। সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানকে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালস কিনে নেয়ার পর বিসিবির তরফ থেকেও দেয়া হয় অনাপত্তিপত্র। তবে বিপত্তি বেধেছে ভারতে করোনার উর্ধ্বমূখি সংক্রমণের কারনে। সেই সাথে যোগ হয়েছে ঘরের মাঠে আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজের কারনও।
সাকিব মুস্তাফিজ আইপিএল্রর প্রথম পর্বের প্রায় অর্ধেক ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। তবে সম্প্রতি সাকিবের দলের দুই ক্রিকেটাররের কোভিড-১৯ রিপোর্ট পজিটিভ আসার কারনে তাদের ম্যাচ বন্ধ করে দেয় আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অংশ নিতে আইপিএল ছাড়তে হচ্ছে এই দুই ক্রিকেতটারকে। আগামী ১৯ রারিখের মধ্যেই লঙ্কা সিরিজের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের ঢুকে যেতে হবে বায়ো বাবলে। ফলে ভারত থেকে দেশে আসার পর সাকিব-মুস্তাফিজদের কতদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে? গোটা চৌদ্দদিন নাকি তিনদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকলেই যথেষ্ট সেই সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন জানিয়েছেন সরকারের দেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই পদক্ষেপ নিবে বোর্ড। তার ভাষ্য, ‘’তাদের কি নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন করতে হবে, নাকি তিন দিনের কোয়ারেন্টিনেই চলবে, এ ব্যাপারে আমরা সরকারের নির্দেশনা জানতে চেয়েছি। যেহেতু আইপিএলে সাকিব, মুস্তাফিজ এবং জাতীয় দলের সঙ্গে ডমিঙ্গো জৈব সুরক্ষাবলয়ের মধ্যেই আছেন, তাঁদের ক্ষেত্রেও ১৪ দিনের নিয়ম প্রযোজ্য কি না, আমরা তা জানতে চেয়েছি। সরকার যেভাবে বলবে সেভাবেই আমরা অগ্রসর হব।‘’
শেষ পর্যন্ত যদি সাকিবদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয় তাহলে হয়তো অতি দ্রুতই আইপিএল ছাড়ছেন তারা। অন্যদিকে যদি কোয়ারেন্টাইনে শিথিলতা থাকে তাহলে হয়তো ঈদের পর পরই কিংবা ঈদের দুয়েকদিন আগে দেশে আসতে পারেন তারা। তবে সাকিব-মুস্তাফিজরা যখনই দেশে ফেরত আসুক আইপিএলের বেশ কিছু ম্যাচ তারা মিস করবেন নিশ্চিতভাবেই।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন