বাংলাদেশ ইমার্জিং দলের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাঝারী লক্ষ্য বেধে দিয়েছিলআয়ারল্যান্ড উলভস। লরকান টাকারের অপরাজিত ৮৩ রানে ভর করে টাইগারদের সামনে এই লক্ষ্য বেধে দেয় আইরিশরা।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ২ ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছিল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের নবম ওভার পর্যন্ত ওপেনিং জুটিতে রান তোলেন জেমস ম্যাককালাম এবং রুহান প্রেটোরিয়াস। ২৫ বলে ৭ রান করা প্রেটোরিয়াস রান আউটে কাটা পড়লে এই জুটি ভাঙে দলীয় ৩৩ রানে।
এরপর জার্মি লওলারের সাথে জুটি বেধে আবারও দলের রান এগিয়ে নিতে থাকেন ওপেনার জেমস ম্যাককালাম। ৫১ বলে ৪০ রান করে ম্যাককালাম রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন খানিক সময় পরই।
অন্যদিকে অধিনায়ক হ্যারি টেক্টরকে ৩৬ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠান তৌহিদ হৃদয়। উইকেটরক্ষক আকবর আলির হাতে স্ট্যাম্পিং হয়ে সাজঘরে ফিরেন টেক্টর। কার্টিস চেম্ফার ও লরকান টাকার আবারও বড় জুটি গড়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন।
দলের রান ২০০ পর্যন্ত টেনে নিয়ে চেম্ফার সাজঘরে ফিরেন ব্যক্তিগত ৪৩ রানে সুমন খানের শিকার হয়ে। শেষের দিকে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারকে আর কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি ক্রিজে। নিচের সারির বাকি ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলেও টাকার ঠিকই খেলেন টি-২০ মেজাজে।
লরকান টাকার শেষ পর্যন্ত ৫৩ বল মোকাবেলায় ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে টাকার হাকিয়েছেন ৯টি চার এবং ২টি ছক্কা। টাকার এই ৭৫ রানের উপর ভর করেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে আইরিশরা সংগ্রহ করেছে ২৬০ রান।
আয়ারল্যান্ডের দেয়া ২৬১ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৪৪ রান যোগ করেন দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের নবম ওভারে রুহান প্রেটরিয়াসের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তামিম ব্যক্তিগত ১৭ রানে সাজঘরে ফিরলে এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয়।
এরপর মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলি রাব্বিদের সাথে ছোট ছোট জুটি গড়েন সাইফ হাসান। তারা কেউ স্থায়ী হতে না পারলেও ব্যাট হাতে আইরিশ বোলারদের উপর স্ট্রিমরোলার চালিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে সাইফ হাসান গেরেথ ডেলানির বলে লরকান টাকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন দলীয় ১৯৫ রানে। চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাইফ ফিরে যাবার আগে ১২৫ বলে ১২০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ১১টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার।
শেষের দিকে তৌহিদ হৃদয় এবং শামিম হোসেনের ৭৯ রানের অনবদ্য জুটিতে ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে তৌহিদ হোসাইন অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানে এবং শামিম হোসাইন অপরাজিত ছিলেন ৪৪ রানে। এই জয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দল সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন