নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বড় হার দেখেছে মোসাদ্দেক হোসেনের মারাঠা এরাবিয়ান্স। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও দল হেরেছে দিল্লি বুলসের কাছে। এই ম্যাচে দিল্লি বুলস জয় পেয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে মোসাদ্দেকের মারাঠা এরাবিয়ান্স। দলের স্কোরবোর্ডে কোনো রান যোগ করার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার আব্দুল শাকুর। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আবারও মারাঠা শিবিরে আঘাত হানেন দিল্লি বুলসের ফিডেল এডওয়ার্ডস । তার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন লওরি ইভান্স। ইভান্সের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ১১ রান। সুবিধা করতে পারেননি অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ। ৬ বল মোকাবেলায় হাফিজের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৫ রান করা হাফিজ শিকার হল আলি খানের।
এরপর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ওপেনার জাভেদ আহমদিকে নিয়ে বিপর্যয় সামলে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মোসাদ্দেক। ইনিংসের নবম ওভারে জাভেদ আহমদি রান আউটে কাটা পড়েন ব্যক্তিগত ২৪ রানে।
একে একে ব্যাটসম্যানদের বিদায়ে দলের হাল ধরে রাখেন মোসাদ্দেক। ইশান মালহেত্রাকে নিয়ে ইনিংসের ইতি ঘটান তিনি। নির্ধারিত ১০ ওভারে মারাঠার ইনিংস থামে ৪ উইকেট হারিয়ে ৮৭ রানে। ব্যাট হাতে ২২ বল মোকাবেলায় ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক। ৫টি চার এবং ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। অপরপ্রান্তে ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন মালহেত্রা।
৮৮ রানের ছোট্ট লক্ষ্যে খেলতে নেমে প্রথম ওভারেই ২ বলে ৪ রান করা রহমতউল্লাহ গুরবাজ সাজঘরে ফিরেন ইয়ামিন আহমেদজাইয়ের শিকার হয়ে।
এরপর তিন নম্বরে নামা রবি বোপারা এবং ওপেনার এভিন লুইস মিলে আগ্রাসী ব্যাট চালাতে থাকেন। মারাঠা এরাবিয়ান্সের বোলারদের তুলোধুনো করে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকে এই জুটি।
শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারের ইনিংসে মাত্র ৫ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান লুইস এবং বোপারা। বোপারা ১২ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ছিলেন ২৮ রানে এবং লুইস ১৬ বল মোকাবেলায় অপরাজিত ছিলেন ৫৫ রানে।
বল হাতে এদিন বাংলাদেশী মুক্তার আলি সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১ ওভার বল করে খরচ করেছেন ৩৩ রান। এছাড়া একাদশে সুযোগ পাওয়া সোহাগ গাজীও ছিলেন বিবর্ণ। ১ ওভার বল করে তিনি খরচ করেন ১৫ রান।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন