দুর্দান্ত ব্যাট করার পরও দলকে জেতাতে পারলেন না আফিফ হোসেন ধ্রুব। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দিল্লি বুলসের কাছে বাংলা টাইগার্স হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
বাংলা টাইগার্সের বেধে দেয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন দিল্লি বুলসের দুই ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ ও এভিন লুইস। প্রথম ওভারেই ১৮ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করার পর দ্বিতীয় ওভারেও আনে ১৩ রান। গুরবাজ অবশ্য ফিরতে পারতেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই। তবে আফিফ সহজ ক্যাচ মিস করার পর আরও আগ্রাসী হন এই আফগান।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আউট হওয়া গুরবাজ ১৫ বল মোকাবেলায় করেন ৪১ রান। প্রথম ৫ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান করা দিল্লি বুলসের জয়টা সহজ করে দিয়ে যান রবি বোপারা। ১৬ বলে ৩৮ রান করে ফজক হকের বল ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলে সুবিধা করতে পারেননি মোহাম্মদ নবী।
এরপর জয়ের বাকি কাজটা শেষ করেন এভিন লুইস এবং শেরার্নে র্যাদাররফোর্ড। লুইস অপরাজিত ছিলেন ৩২ রানে ও র্যাদারফোর্ড অপরাজিত ছিলেন ১১ রানে।
প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলা টাইগার্স এদিন দিল্লি বুলসের বোলারদের ভুগিয়েছেন বেশ। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার এবং জনসন চার্লস মিলে গড়েন বিশাল জুটি। এই দুই ব্যাটসম্যান এবারের আসরের সর্বোচ্চ ১০১ রানের জুটি গড়েন।
ফ্লেচার এবং চার্লসের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ডিজে ব্রাভোর দুর্দান্ত এক ডেলিভারতে ফ্লেচার বোল্ড আউট হলে। ১৬ বল মোকাবেলায় ৩২ রান করা ফ্লেচারের ব্যাট থেকে আসে ২টি ছয়ের মার এবং ৪টি চারের মার।
উইকেটরক্ষক টম মুরিস অবশ্য ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ৪ বলে মাত্র ২ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি। শেষ ওভারে এসে ব্যাট হাতে চমক দেখান আফিফ হোসেন ধ্রুব।
সহ অধিনায়ক আফিফ ইনিংসের শেষ ওভারে ক্রিজে এসে ৫ বল মোকাবেলায় করেন ১০ রান। যেখানে ছিল ২টি চারের মার। নির্ধারিত ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রানের পুঁজি পায় বাংলা টাইগার্স। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত আফিফ ১০ ও জনসন চার্লস অপরাজিত ছিলেন ৩৫ বল মোকাবেলায় ৭৩ রান করে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন