প্রথম ম্যাচেই জয় পেল মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মুক্তার আলির মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স। আবুধাবি টি-১০ লিগ টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মোসাদ্দেকরা জয় পেয়েছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
১২৮ আনের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় মাত্র ৬ রানে ওপেনার জাভেদ আহমদিকে হারায় মোসাদ্দেক হোসেন নেতৃত্বে থাকা মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স। আরেক ওপেনার আব্দুল শাকুর বাঙ্গাস ব্যাট হাতে ছিলেন দুর্দান্ত। তিনে নামা লওরি ইভান্স অবশ্য সুবিধা করতে পারেননি এদিন। ৭ বল মোকাবেলায় মাত্র ৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজকে নিয়ে জয়ের দিকে এগিয়ে যেতে থাকা বাঙ্গাসের জুটিতে ফাটল ধরান ফ্যাবিয়ান অ্যালান। ৮ বলে ১৯ রান করা হাফিজকে সাজঘরে ফেরত পাঠানোর পর জয়ের বাকি কাজটা এগিয়ে দেন বাঙ্গাস এবং ইশান মালহেত্রা।
জয় থেকে মাত্র ১০ রান দূরে থেকে বাঙ্গাস প্যাভিলিয়নে ফিরেন ২৮ বল মোকাবেলায় ৭৮ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে। এরপর ১ রানের ব্যবধানে মালহেত্রা রান আউটে কাটা পড়ে সাজঘরে ফিরলে ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও মুক্তার আলি। শেষ ওভারে ৮ রান প্রয়োজন হলে ৫ বলেই স্কোর সমান করেন মোসাদ্দেক হোসেন। শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রান প্রয়োজন হলে এই রান করেন মোসাদ্দেক।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় নর্দান ওয়ারিয়ার্স। দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান ব্যান্ডন কিং ও লেন্ডল সিমন্স মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ৬২ রান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে এসে ১৩ বল মোকাবেলায় ২৯ রান করা ব্র্যান্ডন কিং রান আউটে কাটা পড়েন।
এরপর তিনে নামা নিকোলাস পুরান অবশ্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি ক্রিজে। ৯ বল মোকাবেলায় ১৯ রান করে মুক্তার আলির বলে সাজঘরে ফিরেন তিনি। ব্যাট হাতে অবশ্য অপরপ্রান্তে থাকা সিমন্স ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। রভম্যান পাওয়েওকে নিয়ে ইনিংসের বাকি ওভার শেষ করেন সিমন্স। ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত সিমন্স অপরাজিত ছিলেন ৩১ বল মোকাবেলায় ৫৪ রান করে। ৭ চার ও ১ ছক্কায় এই রান করেন তিনি। এছাড়া ৭ বল মোকাবেলা করা পাওয়েল ২ চার এবং ২ ছক্কায় ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন।
নির্ধারিত ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রান সংগ্রহ করে নর্ধান ওয়ারিয়ার্স। বল হাতে মারাঠার হয়ে মুক্তার আলি নেন ১টি উইকেট।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন