সম্প্রতি শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএলের ১৩ তম আসরের। বহু কাঠখড় পুড়িয়ে বিসিসিআই টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। গত বছরের এপ্রিলের দিকে টুর্নামেন্ট শুরু হবার কথা থাকলেও করোনার কারনে সেটা বেশ সময় পিছিয়ে গিয়েছিল। ফলে নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টুর্নামেন্টের ১৩ তম আসরটি।
এদিকে এক আসর শেষ না হতেই নতুন ক্যালেন্ডারে আইপিএল আয়োজন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আসন্ন টুর্নামেন্টকে ঘিরে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বৈঠকও করেছে বোর্ড কর্তারা।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন আইপিএলের ১৪তম আসর অনুষ্ঠিত হবে ভারতের মাটিতে। সময় হিসেবে নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছিল মার্চ কিংবা এপ্রিলের মধ্যে। টুর্নামেন্ট মাঠে গড়াতে হাতে যে খুব বেশি সময় নেই সেটা বেশ ভালোভাবেই আন্দাজ করতে পারছে আয়োজকরা। তাই আগামী আসরের নিলাম সম্পর্কিত একটু ভার্চুয়াল বৈঠক করে আয়োজক কমিটি।
সেই বৈঠকে শেষে জানানো হয়েছে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আইপিএলের আগামী আসরের নিলাম। পুরনো খেলোয়াড় ধরে রাখা এবং ছেড়ে দেয়ার যে তালিকা সেটি আগামী ২০ জানুয়ারির মধ্যে দাখিল করতে বলা হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। এই তালিকা চূড়ান্ত করার পরই মূলত নিলাম থেকে ক্রিকেটারদের দলে ভেড়াবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
আইপিএলের গত আসরে সাকিব আল হাসান সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের স্কোয়াডে থাকলেও নিসেধাজ্ঞার কারনে দলে যোগ দিতে পারেননি। আগামী আসরে তাই সাকিবকে ছেড়ে দিতে পারে অরেঞ্জ আর্মিরা। কেন উইলিয়ামসন, রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও জনি বেয়াওস্টোর মত ক্রিকেটাররা দলটিতে থাকায় একাদশে সাকিবের থাকা নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট কিছুটা ভাবনায় পড়ে থাকে। ফলে সাকিবকে ছেড়ে দিতে পারে তারা এমনটাই জানা গেছে। এর আগে সাকিব আল হাসানকে ৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় দলে টেনেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। আগামী আসরে সাকিবের মূল্য আরও কিছুটা বাড়তে পারে ধারনা করছেন অনেকেই।
অন্যদিকে কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমানকে গত আসরে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি দলে নিতে চেয়েছিল। ফলে তাঁর চাহিদাও থাকবে আগামী আসরে। এর আগে অবশ্য আইপিএলে মুস্তাফিজকে কেনা হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা দিয়ে।
সিটি২৪নিউজের ফেসবুক পেজে লাইক দিন
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন